পরিচিতি: শ্বেত চন্দন চিরসবুজ পত্রাচ্ছাদিত সূক্ষ্ম লোম যুক্ত বৃক্ষ।গাছ 30 থেকে 40 ফুট উঁচু হয়ে থাকে। এই গাছ বেশি মোটা হয় না এবং বৃদ্ধি খুবই মন্থর। ছাল গাড় ধূসর বর্ণ বা প্রায় কালো বর্ণ, খসখসে, পরিপক্ব গাছের ছালের লম্বা ভাগে কাটা কাটা দাগ হয়।কাঠ শক্ত,তৈলময় বাদামী বর্ণের ও অতিশয় সুগন্ধযুক্ত। গাছ কুড়ি বৎসরের পূর্বে ব্যবহার উপযোগী হয় না।অসার কাঠ ও পাতায় কোন গন্ধ থাকে না।পাতা ডিম্বাকৃতি সরু 1.5 থেকে 2.5 ইঞ্চি লম্বা। ফুল ধূসর আভাযুক্ত বেগুনি ও কালো বর্ণের। বর্ষা ও শীত কালে দুইবার এর ফুল ফোটে। চন্দন কাঠ ও তেল ব্যবহার করা হয়।
ব্যবহার্য অংশ:কাঠ
কোন অংশ কিভাবে ব্যবহৃত হয়
(১) বসন্ত রোগে: বসন্ত রোগের প্রাথমিক অবস্থায় শ্বেতচন্দন ঘষা, কলমি বা হিংচে শাকের এক চামচ পরিমাণ রস মিশ্রিত করে রোগীকে পান করালে বসন্তের গুটি বের হয় এবং জলের কোন ভয় থাকে না।
(২) শিশুদের নাভিপাকা রোগে: শেখ চন্দন ঘষা শিশুদের নাভি কুন্ডে লাগালে নাভি পাকা রোগ ভাল হয়।
(৩) মেহ রোগে: শ্বেত চন্দন ঘষা,অল্প পরিমাণ ইসবগুলের সরবতে মিশিয়ে নিয়মিত পান করলে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়।চন্দনের তেল 15 ফোঁটা ঠান্ডা জলসহ পান করলেও মেহ আরোগ্য হয়।
(৪) প্রমেহ : এক চামচ পরিমাণ আদা, চন্দন ঘষা, মিহিদানা ভিজানো জল মিশিয়ে মধুসহ খেলে প্রমেহ ভালো হয়।
(৫) চর্মরোগে: চর্মরোগ হলে প্রতিদিন সেই জায়গায় চন্দনের প্রলেপ দিলে চর্ম রোগ ভালো হয়।
(৬) মাথা ধরা: চন্দন ঘষা জলের সাথে কর্পুর মিশিয়ে মাথায় ঘষলে মাথাধরা ভালো হয়।
(৭) উচ্চ রক্তচাপ: উচ্চ রক্তচাপ বা ব্রঙ্কাইটিস রোগে প্রতিদিন সকালে সাত থেকে আটটি তুলসী পাতা খেয়ে এক ঘন্টা পর আধা কাপ দুধের সাথে এক চামচ চন্দন ঘষা জল খেলে ধীরে ধীরে রোগ ভালো হয়।
(৮)প্রস্রাবর জ্বালা : তুমি সেই জলে চন্দন ঘষে তার সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া,প্রস্রাব আটকে যাওয়া,কিংবা রক্তপ্রস্রাবে উপকার পাওয়া যায়।
(৯) ঘামাচি : চন্দন ঘষার সাথে হলুদ বাটা ও কর্পূর কিংবা দারুহরিদ্রা মিশিয়ে শরীরে মাখলে ঘামাচি দ্রুত সেরে যায়।