পরিচিত : সরল বর্ষজীবি গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। প্রায় তিন ফুট উঁচু হয়। গাঢ় সবুজ বর্ণের পাতা ১-২ ইঞ্চি লম্বা হয়। অগ্রভাগ ও বোটার দিকে ক্রমশ: সরু। বিপরীতমুখী জোড়া জোড়া পাতার গোড়া ও মূল কাণ্ডের সংযোগস্থল থেকে সাদা বর্ণের ছোট ছোট ফুল হয়। এর সমগ্র গাছ ব্যবহার হয়। এটা অত্যান্ত উপকারিতা ঔষধি গাছ। এটি ভারতবর্ষের অধিকাংশ স্থানে পাওয়া যায়। বর্ষার শেষ থেকে শীতকাল অবধি ফুল ও ফুল হয়।
স্থানীয় নাম : বাংলা – কালমেঘ, হিন্দি – মহাতিয়া
ব্যবহার্য অংশ: সমগ্র উদ্ভিদ বা কেবলমাত্র পত্র।
ব্যবহারিক মাত্রা : পত্রচূর্ণ বা পাতা বাটা ১২ থেকে ৪৮ গ্রেন। কাথ – ৬0 থেকে ১২০ গ্রাম
কোন অংশ কিভাবে ব্যবহৃত হয় :
(১) ৫- ১০ গ্রাম কালমেঘ আধা গুঁড়ো করে ২ কাপ জলে জ্বাল দিয়ে ১ কাপ পরিমান হলে তা ছেঁকে প্রতিদিন দুই বার খেলে জ্বর ও রক্তআমাশয় ভালো হয়।
(২) খোস পাঁচড়া হলে ১০- ১৫ মিলি পাতার রস সকাল বিকালে জল সহ খালি পেটে খেতে হবে ও খোস পাঁচড়ার জায়গায় প্রলেপ দিতে হবে। এভাবে ৭-১০ দিন খেলে ও প্রলেপ দিলে খোস পাঁচড়া ভালো হয়।
(৩) শিশুদের ক্রিমি হলে ১চা চামচ কালমেঘ পাতার রস ও ১ চা চামচ হলুদ এর রস চিনি সহ ৫ থেকে ৭ দিন খেলে রোগ সেরে যাবে।
(৪) কাঁচা কালমেঘ পাতা, যোয়ান, মৌরি, যায়ফল, বাড়ো এলাচের খোলা, ও মুথা সমান ভাবে মিশিয়ে কালমেঘ পাতার রসে বেটে ছোট ছোট বড়ি তৈরি করে শুকিয়ে রেখে দিবেন। অথবা জিরা,রাঁধুনি, মৌরি, জায়ফল ও বড়ো এলাচের খোলা সমানভাবে মিশিয়ে কালমেঘ পাতার রসে ভালোভাবে মেড়ে ছোট ছোট মটরের আকৃতি বাড়ি তৈরি করে শুকিয়ে নেবেন। রোজ স্তনদুগ্ধর সঙ্গে 2-১ টি বড়ি মেড়ে খাওয়ালে শিশুদের সাধারণ রোগের হাত থেকে বাঁচানো যায়।
(৫) ৮- ১০ টি পাতা বেটে নিয়ে বা স্বরস ৪-৫ ফোঁটা মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেতে দিবেন।
(৬) কিছু দিন এর রস খেলে যে কোনো বয়সেই ক্রিমি রোগে উপকার হয়।
(৭) শুক্তি,ভষ্ম অর্থাৎ শুক্তিতে দুটো সরার মধ্যে রেখে সংযোগস্থল মাটির লেপ দিয়ে শুকিয়ে আগুনে পড়ালে ভষ্ম প্রস্তুত হয়। এই ভস্ম ৪ গ্রেন মাত্রায় কালমেঘ পাতার রসসহ সেবনে যকৃত প্রশ্রমিত হয়।
(৮) ম্যালেরিয়া জ্বরে, উদারময়ে কালমেঘের রস বা কালমেঘের পাতা বাটা সেবন হিতকর।