বাজারে চলতি দামী দামী যেকোনো ক্রিম কিনে অথবা আর্থাব্যয় না করেছি দেশজ নানা জিনিস দিয়ে নাম মাত্র খরচে শরীরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা যায়। প্রাকৃতিক নানা জিনিসের গুনাগুন বিষয়ে আজ্ঞতার জন্য আমরা এ বিষয়ে আগ্রহ বোধ করি না,
সবচেয়ে বড় কথা হল প্রাকৃতিক সাহাজলোভ্য উপাদানের সৌন্দর্য চর্চায় কোনো মন্দ পাতিক্রিয়ার আশঙ্কা থাকে না।
শরীর শুকিয়ে গেলে : প্রতিদিন চালতার তরকারি করে খাওয়া।
শরীর হালকা হয়ে গেলে :অস্বাগন্ধা, স্বেত বেড়েলা ও মধু গরম জলে দিয়ে একবার খাওয়া।
অতিরিক্ত ঘামাচি হলে: মটর ডালের বেসনের সাথে এক চামচ সাদা চন্দন, দুই চামচ মুলতানি মাটি গোলাপ জলে গুলে গায়ে মাখা হয়।
হাত পারি ফাটা: পুই শাক সিদ্ধ করে সেই জলে দশ মিনিট ডুবিয়ে রাখা দিনে দুই বার।
নখকুনিতে : খেসারি ডাল এক চামচ ও আধ চামচ চিরতা ও একটি পানপাতা জলে ফুটিয়ে ওই জলে নখ ডুবিয়ে রাখুন।
পা ফাটাতে হাঁটা না গেলে : আম ও বট আঠা সমানভাবে মিশিয়ে ফাটাফাটি জায়গাতে লাগালে পা ফাটাফাটি বন্ধ হবে।
গায়ের চামড়া উজ্জ্বল ও মোলায়েম করতে : দুই চামচ উচ্ছে পাতার রস গরম জল দিয়ে খাওয়া উচিত।
ছুলি হলে : সজনে পাতা সিদ্ধ করে ওই উষ্ণ অবস্থায় লাগালে উপিকার হবে।
দাদে : আধ চামচ করে গুলঞ্চ ও চাকুন্দ বীজ ও চারটে করমচা বীজ একসঙ্গে গরম জলে ফুটিয়ে দাদে লাগাতে হবে।
চুলকানিতে : নিমপাতা বাটা দুই চামচ ও কাঁচা হলুদ এক চামচ জলে ফুটিয়ে ওই জল দিয়ে গা ধুলে চুলকানি সেরে যায়।
অতিরিক্ত ঘাম হলে : প্রতিদিন সকালে এককাপ দুধের সঙ্গে থানকুনি পাতার রস দুই চামচ ও দশ টি কিসমিশ খান।
ঠোঁটের গঠন ঠিক রাখতে : ভালো মধুর সাথে লেবুর রস মিশিয়ে ঠোঁটে লাগানো উচিত।
গায়ের রং ফর্সা করতে : সমপরিমানে ব্যাকুল ছাল, দারু হারিদ্র, তেজপাতা, অর্জুন, নিশিন্দা, জলে ফুটিয়ে উষ্ণ অবস্থায় গায়ে মেখে এক ঘন্টা পরে স্নান করতে হবে।
গায়ের রং উজ্জ্বল করতে : আধ চামচ করে বাসক পাতা, শঙ্খ গুঁড়ো অশোক একসাথে গায়ে মেখে আধ ঘন্টা পরে স্নান করতে হবে।