শিশুপালন চার থেকে ছয় মাস পর্যন্ত

(১) এই সময় প্রতিদিন সকালে বাচ্চাকে ৪ ফোঁটা মধু খাওয়াবেন। মধু সবদিক থেকেই উপকারি। রোগ নিরোধক। বাচ্চার ওজন বাড়ায়। দাঁত উঠতে কষ্ট হয় না।

(২) রাতে একটা বাদাম ভিজিয়ে রাখতে হবে। সকালে সেটা চন্দনের মতো বেটে আঙুলে করে প্রতিদিন সকালে মধু খাওয়াবার ঘন্টা দুই তিন পরে খাওয়াতে হবে। বাদাম মন ও মস্তিস্ক পুষ্ট করবে।

(৩) চার মাস বয়স থেকেই একটা গোটা কমলার রস বাচ্চাকে দুপুরে দিতে পারেন। রস করে ছেঁকে বাচ্চাকে খাওয়াবেন। এর সঙ্গে টোম্যাটো বা গাজরের রসও মিশিয়ে খাওয়াতে পারেন।

শুধু কমলার রস দেওয়ার সময় সামান্য জল মিশিয়ে নিবেন। কমলার রসে বাচ্চার গায়ের রং উজ্জ্বল হবে বাচ্চা হৃষ্টপুষ্ট হবে।

(৪) পাঁচ মাসের আগেই বাচ্চাকে সবুজ শাক সব্জির রস ও স্যুপ ধরাতে পারেন। টোম্যাটো, গাজর, পালঙ, ধনে এবং অন্যান্য সবুজ পাতার স্যুপ, মুগের ডালের জল খাওয়ানো যেতে পারে।

(৫) চার মাস বয়স থেকে বাচ্চাদের কয়েক মিনিটের জন্য উপুড় করে শোয়াবেন। এভাবে বাচ্চার বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উপুড় করে শোয়ানর সময়ও বাড়াবেন।

এভাবে শোয়ালে বুক চওড়া হবে, হাত, পা ও বুকের মাংসপেশী সবল হবে। পেটের অসুখ হবে না। এই সময়ও বুকের দুধ চলতে থাকবে।

(৬) প্রতিদিন স্নানের আগে সমস্ত শরীরে সর্ষের তেল বা জৈতুনের তেল মালিশ করবেন।

(৭) বাচ্চার পুষ্টি ও বৃদ্ধি ঠিক ঠিক হচ্ছে কিনা ওজন নিয়ে বুঝতে পারবেন। জন্মের সময় বাচ্চাদের ওজন হয় 2500 গ্রাম বা আড়াই কেজি। ষোলো সপ্তাহে বা চার মাস বয়সে ওজন হওয়া উচিত কমপক্ষে দ্বিগুন অর্থাৎ পাঁচ কেজি। এক বছরের বাচ্চার আট সাড়ে আট কেজি ওজন হওয়া স্বাভাবিক বৃদ্ধি।

 

 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *