ক্রিমি হলে কি করনীয়

বিশেষ করে তিন থেকে সাত বছরের বাচ্চার গুঁড়ো ক্রিমির উৎপাতে ভোগে।অনেক বাচ্চা আছে ঘুমের মধ্যে দাঁত কিড়মিড় করে,দাঁত চিবায়,বিছানায় প্রস্রাব করে, পেট ব্যথায় কষ্ট পায়। এসব ক্ষেত্রে কৃমিনাশক যোয়ান ব্যবহার করে ভাল ফল পাবেন।

বিধি ১: অর্ধ গ্রাম জোয়ান চূর্ণ 60 গ্রাম ঘোলে মিশিয়ে খেলে কৃমি নষ্ট হয়ে মলের সঙ্গে বেরিয়ে যাবে।

বড়দের ক্ষেত্রে: দুই গ্রাম যোয়ান চূর্ণ 125 গ্রাম ঘোলের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে হবে।

সব বয়সের ক্ষেত্রে তিনদিন থেকে এক সপ্তাহ এই ওষুধ খেতে হবে।

নিষিদ্ধ: পচা বাসি খাবার, মিষ্টি দ্রব্য, লজেন্স, চকলেট ইত্যাদি খাওয়া চলবে না। সবচেয়ে বেশি দরকার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা।

বিধি 2: অর্ধগ্রাম জোয়ান চূর্ণ সমপরিমাণ গুড়ের সঙ্গে গুলি তৈরি করে দিনে তিনবার খাওয়ালে সবরকম ক্রিমি নাশ হয়।

বিধি ৩: অর্ধেক গ্রাম যোয়ান চুর্ণের সঙ্গে সামান্য বিট নুন গরম জলের সঙ্গে মিশিয়ে রাতে শোবার সময় খেতে দিলে ছোটদের ক্রিমি নষ্ট হয়।

বড়দের ক্ষেত্রে ও দুই গ্রাম জোয়ান চুর্ণের সঙ্গে অর্ধগ্রাম বিট নুন মিশিয়ে দুভাগ মাত্রায় প্রতিদিন খেতে হবে।চূর্ণ মুখে দিয়ে গরম জল খেতে হবে।

বিধি ৪ : ছোটদের ক্ষেত্রে 10 গ্রাম এবং বড়দের ক্ষেত্রে 25 গ্রাম গুড় সকালে খালি পেটে খেতে দেবেন।গুঁড়ো খাবার 10 – 15 মিনিট পরে ছোটদের অর্ধগ্রাম এবং বড়দের এক থেকে দুই গ্রাম যোয়ান চূর্ণ বাসি জলের সঙ্গে খেতে দেবেন। এতে অন্ত্রের সঙ্গে লেপটে থাকা সমস্ত ক্রিমি মরে মলের সঙ্গে বেরিয়ে যাবে।

 

বিধি ৫ : দেশি টমেটো দু-তিনটি কেটে তাতে সৈন্ধব লবণ,গোলমরিচ গুঁড়ো মিশিয়ে বিকেলে খালি পেটে খেতে দিন। এভাবে দিনে একবার করে দু তিন সপ্তাহ খাওয়ালে বাচ্চাদের কৃমির উৎপাত কমবে।

টমেটো খাওয়ার দু’ঘণ্টা আগে ও পরে কিছু খেতে দেওয়া চলবে না। প্রয়োজন হলে সামান্য জল খাওয়া যেতে পারে। দু ঘন্টা পরে খাবার খাওয়া চলবে। তিন বছরের কম বাচ্চাদের টমেটো খাওয়াবেন না।

 

 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *