লেবুর প্রধান উপাদান হল ভিটামিন সি। তাছাড়া সাইট্রেট রূপে থাকিসাইট্রিক অসিড, যা হল আলকালাইন। পটাশিয়াম, হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন মিশে আলকালাইন এবং পটাশিয়াম হাইড্রোক্সাইড তৈরী হয়। লেবুর মধ্যে যেসব পদার্থ থাকে তা সবই তীব্র বা উগ্র। তাই সব ধরণের জ্বরে লেবুর রস ভালো কাজ করে।
লেবুর গুণাবলী
অধিকাংশ লোকেই লেবুর গুনাগুন সম্পর্কে জানে না। আবার লেবুর ব্যবহার নিয়েও অনেক ভুল ধারণা প্রচলিত। গরমের দিনে পিপাসা নিবেরনের জন্য ঠান্ডা জলের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে শরবত আমরা সকলেই ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু শরবতের মধ্যে বা আচারে লেবুর ব্যবহার হলে, তার সব গুনাগুনই নষ্ট হয়ে যায়। সেটা উপকারের চাইতে আপকারাই করে থাকে। চিনি বা নুনের সংস্পর্শে এলে লেবুর গুন তো নষ্ট হয়ই অধিকিন্তু তা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক হয়ে পরে। লেবুতে পর্যাপ্ত পরিমানে ভেষজ গুন বর্তমান। লেবু সাধারণ ও পুরানো রোগ দূর করে এবং রোগ প্রতিরোধাক হিসাবেও কাজ করে।এমন কিছু কিছু খাবার আছে যা পেটে গেলে অসিড হয়ে যায়। সেই অবস্থায় আলকালাইন পদার্থ পাকাস্থলী তে না থাকলে পাকস্থলীর গাত্র ফেটে যায়। যারা নিয়মিত লেবু সেবন করে পাকস্থলীতে তাঁদের আলকালাইন স্তর স্বাভাবিক থাকে কোনো ক্ষতি করতে পারে না। লেবুর রাস মেশানো গরম জল একটু একটু করে সময় নিয়ে পান করতে অন্তত৫-৭ মিনিট সময় নিয়ে এক গ্লাস জোক পান করা উচিত। লেবু সর্দি ঠান্ডা লাগার কষ্টকে পপ্রশামিত করে। অনেকের ধারণা সর্দি কাশিতে লেবু খেলে আরো ঠান্ডা লেগে যাবে। কিন্তু এই ধারণা ঠিক নয়। জলের সঙ্গে লেবুর রাস মিশিয়ে কিংবা শুদ্ধ লেবুর রসে কুলকুচ্ছা করলে মুখের দুর্গান্ধে দূর হয়। মাড়ি ফোলা ইত্যাদিও লেবুর রসে ভালো হয়।
রোগে - ভোগে লেবুর ব্যবহার
পাটের ব্যথা :দু চামচ লেবুর রসের সঙ্গে একচামচ আদর রস ও সামান্য মিছরি গুঁড়ো মিশিয়ে সেবন করলে যে কোনো ধরনের পেটের ব্যথা প্রশামিত হয়।
কান গলা বা পুঁজ পড়া :লেবুর রসে সামান্য সবজি খার মিশিয়ে কানে দিলে কান দিয়ে পুঁজ পড়া বা জলপড়া ভালো হবে।
চুলকানি : লেবু মাঝখানে থেকে দু ফালি করে কাটে তাতে সৈন্ধব লবন মাখিয়ে শুকিয়ে নিতে হবে। কয়েকদিন রোদে দিয়ে শুকনো করে পিষে চূর্ণ করে শিশি ভরে রেখে দেবেন করলে চুলকানি কমে যাবে।
পিত্তদাহ :একটা সম্পূর্ণ লেবু এক গ্লাস জলে চিপে রস বার করে সামান্য চিনি মিশিয়ে পান করলে পিত্তদাহ প্রশামিত হয়।
অজীর্ণ :কাঁটা লেবুতে সৈন্ধব লবন ছিটিয়ে আহারের আগে চুষে খেলে অজীর্ণ নষ্ট হয়।
পায়োরিয়া :দাঁত দিয়ে রক্ত পড়লে লেবুর রস আঙুলের ডগায় নিয়ে মাড়িতে মালিশ করতে হবে।
আমাশায় :লেবু গরম করে নিয়ে রস বের করে নিতে হবে। এই রসে সামান্য সৈন্ধব লবন ও চিনি মিশিয়ে দিনে তিনবার সেবন করলে আমাশয় এ উপকার পাওয়া যায়।
সৌন্দর্য চর্চায় লেবু
লেবুর রস ত্বক কে মোলায়েম ও উজ্জ্বল করে। ময়লা দূর করে ত্বককে নির্মল ও স্বচ্ছ করে। শরীরের অবাঞ্চিত দাগ, বিশেষ করে মুখের যে কোনো দাগ তুলতে লেবু অতুলোনীয়।
*** আরও আপডেট পাওয়ার জন্য আমাদের ওয়েব সাইট রোজ ভিজিট করুন । ধন্যবাদ ……