শুকনো কাশি থেকে নিষ্কৃতির সহজ উপায়

(১) গোলমরিচ ও মিছিরি সমমাত্রায় নিয়ে ভালোভাবে গুড়ো করে নেবেন। এবারে গাওয়া ঘি প্রয়োজন মতো দিয়ে কুলের বিচির মতো গুলি করে নেবেন। ঘি বেশি পড়লে গুলি হবে না। ঘি মেশাতে হলে গুলি পাকাবার মত পরিমাণে। এই গুলি দিনে তিন থেকে চারটি খেতে হবে। এতে যে কোন ধরনের কাশি আরোগ্য হবে। এছাড়া, গলা বসা বা স্বরভঙ্গ, গলা খুসখুস, ব্রঙ্কাইটিস ইত্যাদি রোগ ভালো হয়।

(২) ফিটকিরির খই 10 গ্রাম মিছরি বা চিনির সঙ্গে গুড়ো করে সামান্য মাত্রায় চৌদ্দটি পুরিয়া করে নেবেন। শুকনো কাশিতে গরম দুধের সঙ্গে এক পুরিয়া চূর্ণ রাতে শোয়ার সময় সেবন করতে দেবেন। এক সপ্তাহ সেবনের পরে কাশি কমে যাবে। শ্লেষ্মাযুক্ত কাশিতে দুধের পরিবর্তে গরম জলের সঙ্গে সেবন করতে হবে।

(৩) প্রয়োজনে অনুরূপ গোলমরিচ রোদে গরম করে গুঁড়ো করে নেবেন।এই গুঁড়োর সঙ্গে চার গুণ আখের গুড় মিশিয়ে অর্ধমাত্রার গুলি তৈরি করবেন।দিনে 2 থেকে 4 টি সেবন করলে শুকনো কাশি, গলা খুসখুস, গলা ব্যথা দূর হবে।

(৪) প্রতিদিন স্নানের আগে আঙ্গুলে করে খাঁটি সরষের তেল দুই নাকে দিতে হবে। এভাবে নিয়মিত নাকে এক -দুই ফোঁটা করে সরষের তেল টানলে শুকনো কাশি, কাশির জন্য মাথা বা কপালে যন্ত্রণা দূর হবে।

(৫) আধ গ্লাস দুধে একটি খেজুর ফুটিয়ে বিচি ফেলে দিয়ে খেজুর ও দুধ খেতে হবে। এতে কষ্টকর কাশি দূর হয়।

শ্লেষ্মাযুক্ত কাশি

(১) জোয়ান খেলে কফ বা শ্লেষ্মা কমে যায়। এটি হজম বা গ্যাসের পক্ষে উপকারী।

(২) পরিমাণমতো টাটকা আদা থেঁতো করে কাপড়ে নিংড়ে রস বার করে নিতে হবে। এই রসের সঙ্গে সমান মাত্রায় খাঁটি মধু মিশিয়ে এক চামচ পরিমাণ সামান্য গরম করে দিনে তিন থেকে চার বার খেতে হবে। এতে শ্লেষ্মা যুক্ত কাশি আরোগ্য হবে।

ছোটদের বুকে কফ জমলে সর্দি-কাশিতে এই মিশ্রণ 2 থেকে তিন ফোঁটা করে দিনে দুবার অথবা তিনবার চাটতে দেবেন।

এই মিশ্রন অল্প সময়ে খুব ভালো কাজ করে। সর্দি কাশি জনিত যে কোন কষ্ট দূর করে।

বর্ষাকালে অথবা শীতকালে ঘন ঘন সর্দি কাশির সম্ভবনা থাকে। ওই সময় এই মিশ্রণ মাঝে মাঝে ব্যবহার করলে ঠান্ডা লাগা, সর্দি কাশি থেকে মুক্ত থাকা যায়।

বুক ও পাঁজরের ব্যথা

এক চামচ পরিষ্কার জোয়ান 250 গ্রাম জলে ফুটিয়ে চারভাগের একভাগ করবেন। পরে ছেঁকে নিয়ে রাতে শোয়ার সময় গরম গরম খেতে দেবেন। খাওয়ার পরে সম্পূর্ণ শরীর চাদরে ঢেকে 10 মিনিট শুয়ে থাকবেন। দিনে দুবার করে ব্যবহার করলে এক সপ্তাহের মধ্যে বুকের পাঁজরের ব্যথা দূর হবে।

শিশুদের ক্ষেত্রে

দুটি লবঙ্গ, পাঁচটি তুলসী পাতা জলে ফুটিয়ে ছেকে খাওয়াতে হবে। দিনে দুবার করে খাওয়ালে পাঁজরের কষ্ট দূর হবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *