ভুলবশত খাবারের সঙ্গে বিষ পেটে যাওয়া এমন কিছু অস্বাভাবিক ঘটনা নয়।যেকোনো ধরনের বিষ পেটে গেলে এবং তা বের করে দেওয়া বা নষ্ট করার তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা করতে না পারলে প্রাণ সংশয় হতে পারে।
যেকোনো ধরনের বিষ পেটে গেলে রোগীকে সঙ্গে সঙ্গে বমি করাবার ব্যবস্থা করতে হবে।
বমি করাবার তাৎক্ষণিক উপায় হল, এক চামচ গুঁড়ো করা রাই লবণসহ জলে মিশিয়ে রোগীকে পান করাতে হবে।এতে প্রায় সঙ্গে সঙ্গে বমি হয়ে যাবে।
পেট থেকে মল বের করতে হলে রোগীকে ক্যাস্টর ওয়েল খাওয়াতে হবে। দুধের সঙ্গে দ্বিগুণ পরিমাণ ক্যাস্টর ওয়েল বা রেড়ির তেল মিশিয়ে খাওয়াবেন।প্রায় সঙ্গে সঙ্গে পেটের মল বেরিয়ে আসবে।
ঘরোয়া চিকিৎসা
(১) ভুলবশত: বিষ খেয়ে ফেললে প্রাথমিকভাবে জানার উপায় থাকেনা বিষ টা কি ধরনের বা কতটা মারাত্মক।এই অবস্থায় রোগীকে প্রচুর পরিমাণে দুধ পান করাতে হবে।
স্বভাবত: ভরপেট দুধ খেলে আপনা থেকেই বমি হয়ে যায়। দুধ পেটে যাবার সঙ্গে সঙ্গে পাকস্থলীর পাচক রসের প্রভাবে কেটে গিয়ে ছানা ছানা হয়ে যায়।পেটের বিষ সেই ছানা ছানা দুধের সঙ্গে জমে গিয়ে বমির সঙ্গে বেরিয়ে আসে।
(২) বিষের প্রভাব নষ্ট করার জন্য ঘি ও গোলমরিচ ব্যবহার করে সুফল পাওয়া যেতে পারে।
১00-১৫0 গ্রাম গাওয়া ঘি প্রথমে উনানে চাপিয়ে গলিয়ে নিতে হবে। ঘি গরম হলে তার সঙ্গে ১০-১৫ টা গোলমরিচ গুঁড়ো করে মিশিয়ে রোগীকে খেতে দিতে হবে।এতে পেটের বিষের প্রভাব নষ্ট হবে।
(৩) শরীরে অনুপ্রবিষ্ট যেকোনো ধরনের বিষকে নষ্ট করার আশ্চর্য ক্ষমতা রয়েছে শিবাম্বুর অর্থাৎ মানুষের মূত্রের। আফিম বা এই জাতীয় মাদকদ্রব্য অত্যধিক পরিমাণে সেবন করলে, শরীরে বিষাক্ত কাঁটা ঢুকলে বা ওরকম কাঁটার আঁচড় লেগে ক্ষত হলে,সাপের কামড়,পাগলা কুকুর, বিছা ইত্যাদির দংশনে বা ধাতু জাতীয় দ্রব্য থেকে উৎপন্ন বিষ অথবা দেশি-বিদেশি ওষুধের বিষক্রিয়ায় জনিত সমস্যা ইত্যাদি ক্ষেত্রে স্বমূত্র চিকিৎসা অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য। মূত্রের মধ্যে বিষের প্রভাব নষ্ট করার অপরিমিত ক্ষমতা রয়েছে।
(৪) কোন ভাবে শরীরে দূষিত জীবাণুর সংক্রমণ জনিত কারণে শরীর বিষাক্ত হয়ে পড়লে সঙ্গে সঙ্গে হলুদ ও গরুর দুধ সেবন করাতে হবে।
আধ চামচ গুঁড়ো করা হলুদ এক গ্লাস বা 250 গ্রাম গরম দুধের সঙ্গে মিশিয়ে দিনে দু’বার করে রোগীকে নিয়মিত পান করতে দেবেন।দিনের মধ্যেই শরীরে জমা বিষ নষ্ট হয়ে শরীরে বিষ মুক্ত হবে।