রক্ত শোধন বা রক্ত পরিষ্কারের জন্য কি করবেন ?

(১) আধা গ্লাস গাজরের রস প্রতিদিন সকালে ও বিকালে জলখাবারের আগে খেতে হবে। এতে যাবতীয় রক্ত বিকার নষ্ট হয়ে রক্ত পরিষ্কার হবে। রক্ত দূষিত হওয়ার জন্য যদি ফোড়া ফুসকুড়ি ওঠে তা বন্ধ হবে।

শরীরের রক্ত শোধনের জন্য গাজর আদর্শ যোগ। গাজর রক্তের ক্ষার ও অম্লতার মধ্যে সমতা রক্ষা করতে সাহায্য করে। যাদের শরীরের গাঁট ফুলে যায়, মূত্রে ইউরিক এসিড বেশি নির্গত হয়, গাজরের রস তাদের রোগ মুক্ত করবে, গাজরের কীটাণু নাশ করার শক্তি অপরিসীম।গলা,শ্বাসনালী বা চোখের সংক্রমণ বা ইনফেকশন হলে গাজরের রস তা নষ্ট করতে পারে।

(২) প্রতিদিন এক গ্লাস করে নিয়মিত গাজরের রস পান করলে রক্তাল্পতা দূর হয়,শরীরের ওজন বাড়ে,রং টকটকে সুন্দর হয়।

(৩) এতে দুর্গন্ধযুক্ত গ্যাস নির্গত হওয়া,পেট ফোলা, অজীর্ণ, মলের সঙ্গে খাদ্য বের হওয়া,খেলে গায়ে না লাগা ইত্যাদি রোগ দূর হয়।

(৪) যেকোনো মানুষের পক্ষে গাজর আদর্শ ও শক্তিবর্ধক টনিকের মতো কাজ করে।এতে থাকে লৌহ গন্ধক প্রচুর ভিটামিন A ইত্যাদি ও ফসফরিক অ্যাসিড।এটি নিয়মিত সেবনে টানা 10 থেকে 12 ঘন্টা পরিশ্রমেও শরীরের ক্লান্তি আসে না।

এতে পান্ডু রোগ, মূত্রের সঙ্গে ধাতু নির্গত হওয়া, পিত্তবিকার, যকৃতের রোগ, বৃক্ক বিকার ও মূত্রশয়ের পরিধি ইত্যাদি রোগ নিরাময় হয়।দেখতে সামান্য হলেও গাজরের গুণ বলে শেষ করা যায় না।এতে মানসিক,শারীরিক ও স্নায়ুবিক শক্তি বৃদ্ধি হয়।চোখের পক্ষেও গাজরের রস অত্যন্ত উপকারী।নিয়মিত সেবনে, কখনো চোখের সমস্যায় কষ্ট পেতে হয় না।দীর্ঘদিন চোখ ভালো থাকে,বৃদ্ধ বয়সেও চশমার দরকার হয়না।

প্রতিদিন একটি করে গাজর চিবিয়ে খেলে শরীরের চামড়া ভালো থাকে, ত্বকের দাগ দূর হয়, পেটের কৃমি নষ্ট হয়,

(৫) প্রতিদিন বিকালে নিয়মিত এক গ্লাস গাজরের রস সেবন করলে, ফুসফুসের জমা কফ বেরিয়ে যাবে।কাশি,বুকে ব্যথা,কফের রোগ, ক্ষয় রোগ ইত্যাদিতেও গাজরের রস উপকারী।

(৬) প্রতিদিন দুপুরে ছোট এক গ্লাস গাজরের রস নিয়মিত পান করলে দুই সপ্তাহের মধ্যে, গলা ফোলা রোগ,টনসিল,নালী ঘা ইত্যাদি দূর হয়।

দরকারি পরামর্শ

(১) গাজরের রস খেতে অসুবিধা বোধ হলে, তার মধ্যে মধ্যে সামান্য আদা, গোলমরিচ, সৈন্ধব লবণ মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।তবে এতে কিছু না মিশিয়ে সেবন করা উত্তম।

(২) সকালে খালি পেটে গাজরের রস সহ্য না হলে দুপুরে বা বিকেলে খাওয়া যেতে পারে।

সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য

বহু গুণ সম্পন্ন গাজর ও আপেল শীতকালে পাওয়া যায়। এই দুইটি শক্তি ও সৌন্দর্য গুণসম্পন্ন। বিশেষ করে মেয়েদের পক্ষে আপেল ও গাজর অত্যন্ত উপযোগী। আপেল ও গাজরের এমনই অদ্ভুত গুন যে এতে যেমন মেদ ও ওজন বৃদ্ধি হয় তেমনি আবার মেদ কমাতেও সাহায্য করে।

(২) আপেল ও গাজর সমান মাত্রায় আলাদা আলাদা করে করে নিয়ে দুপুরের আহার এর পর খেতে হবে। এতে দ্রুত ওজন বাড়বে। শরীর সুন্দর হবে।

(৩) ওমান মাত্রায় আপেল ও গাজর কুড়িয়ে অন্তত 200 গ্রাম পরিমাণ সকালে খালি পেটে খেলে অতিরিক্ত মেদ ঝরে যায়। এছাড়া এতে রক্ত পরিষ্কার হয়, দেহের সৌন্দর্য বাড়ে।

আপেল ও গাজর খাওয়ার পর অন্তত দু ঘন্টার মধ্যে আর কিছু খাওয়া যাবেনা।

 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *