পুদিনা পাতার ১০ টি অপরিহার্য গুন

সাধারণত: চাটনি ইত্যাদি টে মিশলা হিসাবে পুদিনা ব্যবহার হয়ে থাকে। কিন্তু এর ভেষজ গুনও যথেষ্ট। পুদিনায় প্রচুর পরিমানে ভিটামিন A পাওয়া যায়। বহু রোগের প্রতিষেধক হিসাবে পুদিনার ব্যবহার প্রচলিত।

পরিচিতি : পুদিনা বর্ষজীবি, অতীশয় উগ্র গন্ধবিশিষ্ট বিরুৎ জাতীয় উদ্ভিদ। এর অনেকগুলো প্রজাতি আছে। পুদিনা পাতা উজ্জ্বল সবুজ বর্ণের, কিনারা করাতের মতো কাটা, পুরুলিয়া এবং কোমল ও আগ্রভাগ সরু। ফুল ছোট, সাদা ও গুচ্ছাকার হয়। তবে পুদিনার ফুল কমই হয়ে থাকে। পুদিনার গাছ, পাতা, তেল ব্যবহার হয়।

রোগে – ভোগে পুদিনার ব্যবহার :

কলেরা : পেটের যেকোনো রোগের পক্ষেই পুদিনার রস উপকারী। পুদিনার রসে কোলেরা রোগের দাস্ত, বমি কমে যায়। কোলেরার প্রকোপ দেখা দিলে নিয়মিত পুদিনার সরবত পান করতে হয়। এতে রোগাক্রমনের ভয় থাকে না।

হজম শক্তি বৃদ্ধি : টাটকা পুদিনা, গোলমরিচ, খেজুর, সৈন্ধব লবন, হিং, কালো আঙ্গুর ও জিরা, সবগুলো মিশিয়ে চটকে বেটে চাটনির মতো তৈরি করতে হবে। এর সঙ্গে এবার লেবুর রস মিশিয়ে চেটে খেতে দিন। এতে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়, মুখে রুচি ফিরে আসে, বায়ু রোগ দূর হয়।

দাদ : পুদিনা পাতা বেটে দাদের ওপর লাগালে কিংবা রস বার করে লাগালে দাদ জব্দ হয়।

পুদিনা

পেট ব্যথা : পুদিনা ও আদার রস দুই চামচ করে মিশিয়ে সামান্য সৈন্ধব লবন সহযোগে সেবন করতে হবে। পেটের বেথায় উপকার পাওয়া যাবে।

বায়ু বিকার : পুদিনা, তুলসী, গোলমরিচ, আদা ইত্যাদির পাচন তৈরি করে পান করলে বায়ু বিকার নষ্ট হয়।

নিউমোনিয়া : টাটকা পুদিনা পাতার রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে দু ঘন্টা অন্তর সেবন করবে দিলে নিউমোনিয়া রোগে উপকার পাওয়া যায়।

টাইফয়েড : পুদিনা, কালো তুলসী, রাম তুলসী এক সঙ্গে বেটে রস করে দিতে হবে। এক চামচ চিনি মিশিয়ে এই রস দিনে তিনবার সেবন করলে টাইফয়েড জ্বরে উপকার পাওয়া যায়।

সর্দি : সর্দি হোলে সামান্য পরিমানে পুদিনা বেটে এক ছটাক জোলে গুলে খেলে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়।

বমি : বমি বমি ভাব হলে পুদিনা বেটে সামান্য লবন সহ খেলে বমি বমি ভাব দূর হয়।

অরুচি : অরুচি হলে পুদিনা বেটে লবন মিশিয়ে খাবারের সঙ্গে খেলে অরুচি দূর হয়। পুদিনার চাটনিও বিশেষ মুখরোচক।

 

 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *