ভেষজ হিসাবে হরীতকীর গুরুত্ব আপারিসীম। এতে লবন ছড়া বাকি পাঁচটি রসই বর্তমান। হরীতকীকে ফলের মধ্যে ধরা হয়। এটি বল ,আয়ু ও মেধা বর্ধক। নিয়মিত হরীতকী সেবনে শরীরের নানা বিকার নাশ হয়।
হরীতকী মিছরির সঙ্গে বা চিনির সঙ্গে খেলে পিত্ত নাশ হয়। লাবনের সঙ্গে খেলে কফ, ঘীএর সঙ্গে খেলে বায়ু এবং আখের গুরের সঙ্গে খেলে সমস্ত রোগ নাশ হয়।
রোগে – ভোগে হরীতকীর ব্যবহার :
কৃমি : হরীতকী, নিমের চার, ভায়বিভ, সব কয়েকটি চূর্ণ মিশ্রিত করে গুড়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে কৃমি নাশ হয়।
বমি : দুই চামচ হরীতকী চূর্ণ মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেলে বমির বেগ প্রশামিত।
কুষ্ঠরোগ : দুই চামচ হরীতকী চূর্ণ ৪০ মি. লি. টাটকা গোমূত্র মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে সেবন করলে কুষ্ঠরোগ ভালো হয়। ওষুধ সেবনের পাশাপাশি আহার বিহারে সংযম পালন করা উচিত।
অর্শ : হরীতকী চূর্ণ সামান্য মাত্রায় গুড়ের সঙ্গে মিশিয়ে সকাল সন্ধ্যা দুইবেলা সেবন করলে অর্শ আরোগ্য হয়।
কোষ্ঠকাঠিন্য : ত্রিফলা অর্থাৎ হরিতকি, বহেড়া, ও আমলকি চূর্ণ সমভাবে নিয়মিত রাত্রে শোয়ার আগে সেবন করলে কোষ্ঠকাঠিন্য থাকে না।
অজীর্ণ : হরীতকী, পিপুল, সৈন্ধব লবন সমমাত্রায় চূর্ণ করে নিতে হবে। দুই চামচ পরিমানে চূর্ণ দই বা গরম জলের সঙ্গে সেবন করলে উপকার পাওয়া যায়।
দাঁতের রোগে : হরীতকী চূর্ণ দিয়ে প্রতিদিন দাঁত মাজলে দাঁত নিরোগ ও সবল থাকে।
হরীতকী ও খয়ের একসঙ্গে মিশিয়ে চুষলে দাঁত পরিষ্কার ও মজবুত হয়।
চোখের রোগ : হরীতকীর জল দিয়ে চোখ ধুলে নেত্র রোগ ভালো হয়। এতে চোখের জ্যোতি বাড়ে।
জন্ডিস বা কমলা : হরীতকী চুর্ণের সঙ্গে সমমাত্রায় গুড় মিশিয়ে প্রতিদিন ১০ গ্রাম পরিমান তিনবার করে সেবন করলে জন্ডিস রোগ আরোগ্য হয়।
কাশি : হরীতকী, পিপুল, ও গোলমরিচ সমমাত্রায় নিয়ে চূর্ণ করে শিশি ভরে রাখবেন। এই চূর্ণ এক চামচ করে দিনে তিনবার গুড়ের সঙ্গে সেবন করলে কাশি সেরে যাবে।
ম্যালেরিয়া : হরীতকী চূর্ণ দুই চামচ মধুর সঙ্গে সজল সন্ধ্যা সেবন করলে ম্যালেরিয়া রোগে উপকার পাওয়া যায়।
প্রমেহ : একচামাচ হরীতকী চূর্ণ মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেলে প্রমেহ রোগ আরোগ্য হয়।
*** বিভিন্ন প্রকার রোগ নিরাময়ের ঘরোয়া উপায় ও গাছ গাছড়া শাক্ সবজির গুণাগুণ জানতে আমাদের ওয়েব সাইট রোজ ভিজিট করুন ।