তুলসীর ব্যাবহার ও ঔষধি গুন

তুলসীর ঔষধিগুন অন্তহীন। তুলসীর গুরুত্ব কেবল ওষুধ হিসাবেই নয়, ভারতের প্রতি গৃহস্থ ঘরে তুলসীর নিত্য সেবা – পূজা হয়। পাতা থাকে শেকড় পর্যন্ত সব কিছুই মহা উপকারী। শরীরকে সুস্থ রাখতে ও রোগ নাশ করতে তুলসীর অবদান অতুলোনীয়।

তুলসীর মাত্রা নির্ধারণ করা হয় এভাবে – সবল ও দুর্বল শরীর অনুপাতে পাতা ৫-২৫ টি, তুলসীর রস ৫-১০মি. লি. তুলসীর বীজ এক গ্রাম।

রোগে – ভোগে তুলসীর ব্যবহার :

সর্দি – কাশি : তুলসী পাতার রস, আদার রস, পানের রস সম মাত্রায় নিয়ে তার সঙ্গে কয়েক ফোঁটা মধু ও এক চিমটে গোলমরিচ চূর্ণ মিশিয়ে দিনে তিনবার সেবন করতে হবে। কয়েক দিনের মধ্যে সর্দি কাশি নিরাময় হবে। কাশি বাসি হলে এই চুর্ণের সঙ্গে বিট লবন মিশিয়ে নিতে হবে।

জ্বর : সর্দি জ্বর, কালা জ্বর, ম্যালেরিয়া জ্বর এবং জ্বরজনিত পাঁচজরের ব্যথা ইত্যাদিতে তুলসী ব্যবহারে উপকার পাওয়া যায়। ১০-১৫ টি তুলসী পাতার রসের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা মধু মিশিয়ে দিনে তিন বার সেবন করতে হবে।

বমি : তুলসী পাতার রসে পুদিনা ও মৌরির আরক মিশিয়ে সেবন করলে সঙ্গে সঙ্গে বমি বন্ধ হবে।

শ্বাস রোগ : হাঁপানি ইত্যাদি শ্বাস রোগে সামান্য সৈন্ধব লবন দিয়ে তুলসী পাতার পাচন সেবন করতে হবে।

মধুমেহ : তুলসী ও গুরমারের ১০ টি করে পাতা প্রতিদিন সকালে চিবিয়ে জল পান করলে ডায়াবেটিস রোগে উপকার পাওয়া যায়।

নপুংসকতা : তুলসী পাতার চূর্ণ এক গ্রাম করে দুধের সঙ্গে রাতে শোয়ার আগে সেবন করতে হবে, এতে নপুংসকতা দূর হবে, যৌনশক্তি বৃদ্ধি হবে।

সাপে কাটা : সাপে কাটা রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাবার আগে পর্যন্ত তুলসী – চিকিৎসায় বিষের প্রভাব অনেকটা নষ্ট করা যায়। সাপে কাটার ক্ষত স্থানে তুলসীর শেকড় বেটে লাগাতে হবে, সেই সঙ্গে রোগীকে যত সম্ভব তুলসী পাতা চিবিয়ে খেতে দিবেন।

দাদ : দাদের ওপর তুলসীর রস দিনে দু তিন বার করে লাগালে দাদা নির্মূল হবে।

 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *