কেউ যদি ইচ্ছাকৃত বা ভুলবশত কোন বিষপান করে থাকে বা কোনোভাবে পেটে চলে যায়,তাকে নষ্ট করার জন্য সঙ্গে সঙ্গে 50 থেকে 100 গ্রাম গাওয়া ঘি এবং তার সাথে 15 থেকে 20 টি গোলমরিচ গুঁড়ো মিশিয়ে খাওয়ালে বিষের প্রভাব নষ্ট হয়ে যায়। এছাড়া পেট ভরে দুধ খাওয়ালে উপকার হয়।
লবণ জলবা অম্ল কোন দ্রব্য খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বমি করাতে পারলে রোগীর পক্ষে সবচেয়ে ভালো
সিগারেটের অতিরিক্ত নেশা ছাড়াতে
হরিতকী আধা চামচ, কলাপাতার রস এক কাপ করে একবার খাওয়ান।
মদের নেশা ছাড়াতে
আধা চামচ হিংচে ও কন্টকরী গুঁড়ো গরম জলে ফুটিয়ে ছেকে সেই জল দিনে দুইবার করে খাওয়ান। সকালে ও বিকালে 15 থেকে 20 টি কিসমিস খালি পেটে চিবিয়ে খাওয়ান। আপেল খাওয়ার অভ্যাস বাড়াতে হবে।
দুর্ঘটনার প্রাথমিক চিকিৎসা
প্রাথমিক চিকিৎসা হল চিকিৎসা শাস্ত্রের অন্তর্গত একটি প্রাথমিক বিভাগ।এই শিক্ষায় পারদর্শী ব্যক্তিগণ যেকোনো দুর্ঘটনায় কিংবা কোন ব্যক্তি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে নিপুণভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা করতে পারেন। তার ফলে অনেক জীবনের বাঁচানো সম্ভব হয়।
জলেডোবা :- যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ডুবে যাওয়া ব্যক্তিকে জল থেকে তাঁরই ডান হাতের ওপর তার কপাল রেখে শোয়াতে হবে। এবার তার বুকের নিচে একটা ছোট পাতলা বালিশ দিয়ে রোগীর নিচের পাঁজরের উপর হাত রেখে তিন সেকেন্ড ধরে তার পিঠে চাপ দিতে হবে। রোগীকে পাশফিরিয়ে বাম হাতের ওপর শুইয়ে আগের মতো চাপ দিতে হবে।তাহলে তার পেটের জল বের হবে এবং শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক হবে।
শুকনো কাপড় বা গরম কম্বল গায়ে জড়িয়ে দিয়ে গরম জলের বোতলে করে পায়ের তলায় সেক দেওয়া এবং অল্প গরম দুধ চা খেতে দেওয়া দেওয়া উচিত।
গলায় দড়ি দিলে :- যতটা সম্ভব তাড়াতাড়ি দেহটিকে ধরে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে ওপরের দিকে তুলে দেওয়া যাতে দড়ির টান কমে যায় এবং দড়ি কেটে দেহটাকে আস্তে আস্তে নামাতে হবে। অসাবধানতায় যেন ধুপ করে পড়ে না যায়। গলার দড়ি সাবধানে খুলে বা কেটে ফেলতে হবে। এরপর কৃত্রিম উপায়ে শ্বাস-প্রশ্বাস দেবার চেষ্টা করতে হবে। দেরি হলে রোগীকে প্রায়ই বাঁচানো সম্ভব হবে না।
ইলেকট্রিক শক খেলে :- কেউ যদি ইলেকট্রিক দ্বারা আক্রান্ত হয় সঙ্গে সঙ্গে যেন সুইচ বন্ধ করে দেওয়া হয়, তাহলে আক্রান্ত ব্যক্তিকে সাহায্য করতে গিয়ে যাতে নিজেও বিপদে না পড়ে সেজন্য সতর্ক থেকে যতটা সম্ভব তাড়াতাড়ি শুকনো কাঠ, বাঁশ, রাবার বা কাঁচের তৈরি যাতে তড়িৎ কুপরিবাহী বস্তু দ্বারা অথবা গ্লাভস পরে আক্রান্ত ব্যক্তিকে উদ্ধার করতে হবে । হাতের কাছে কিছু না পাওয়া গেলে শুকনো দড়ির ফাঁস করে আক্রান্ত ব্যক্তিকে উদ্ধার করতে হবে।
রক্তপাতে :- অনেক সময় কোন ধারালো অস্ত্র শরীরের কোন অংশে আঘাত করলে কেটে গিয়ে প্রচুর রক্তপাত হয়। ওই অবস্থায় যত শীঘ্র সম্ভব দূর্বাঘাস চিবিয়ে খেতো করে কাটা জায়গায় লাগিয়ে শক্ত করে বেঁধে দিলে রক্ত পড়া বন্ধ হয়।
কালো কচুর ডাটা বিনা জলে বেটে কাটা অংশে বেঁধে রাখলে রক্ত বন্ধ হয়। কাটা জায়গা জোড়া লাগে এবং কোন দাগ থাকে না।
মচকে গেলে :- হাত, পা বা শরীরের কোন অংশে যদি মোচড় লাগে, আঘাত লাগা জায়গার কিছু ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত কোন কাঠ বা বাঁশের বাখারি দিয়ে ভালো করে ব্যান্ডেজ করে দিতে হয়।
আপাং বেটে তার প্রলেপ দিলে খুব তাড়াতাড়ি মচকানো ব্যথা ভালো হয়। নুন হলুদ চুনে মিশিয়ে সামান্য গরম করে প্রলেপ দিলে ব্যথা সারে।
কোন বিষাক্ত গ্যাস বা ধোঁয়াতে দম আটকে গেলে :- প্রথমে একখানা ভিজে ন্যাকড়া দিয়ে নিজের নাক ও মুখ বেঁধে ফেলতে হবে। তারাতারি ওই স্থানে গিয়ে অসুস্থ ব্যক্তিকে খোলা জায়গায় নিয়ে এসে শুইয়ে দিতে হবে। চারিদিকে ভীড় জমতে দেওয়া উচিত নয়। স্বাভাবিক উপায়ে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে না পারলে কৃত্তিম উপায়ে শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যবস্থা করতে হবে।