মূত্রাশয়ের গোলযোগ থেকেই প্রস্রাবের জ্বালা, প্রস্রাব রোধ দেখা যায়। আগেই বলেছি আমাদের মূত্রাশয়ের সঙ্গে কিডনির সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ।
ঘরোয়া যোগ
(১) প্রস্রাবের সময় মূত্রনালীতে জ্বালা অনুভব হলে 10 থেকে 15 টা বেলপাতা মিহি করে বেটে একগ্লাস জলে মিশিয়ে সকাল-বিকাল পান করতে দেবেন। দু-তিনদিন এই বেল পাতার সরবত খেলে প্রস্রাবের জ্বালা দূর হবে।
(২) রাত্রে 1০ গ্রাম ধোনে পরিষ্কার করে ধুয়ে ভিজিয়ে রাখবেন। সকালে মিহি করে পিষে নিয়ে কাপড়ে ছেঁকে এক গ্লাস জল এর সঙ্গে সামান্য মিছরি সহযোগে সেবন করতে হবে। কয়েকদিন সেবনেই প্রস্রাবের জ্বালা দূর হবে।
(৩)5-7 টি তুলসীপাতা সকালে বিকালে খালি পেটে চিবিয়ে খেতে হবে। জল না খেলেই ভালো। দু-তিনদিন খেলে প্রস্রাবের জ্বালায় উপকার পাওয়া যাবে।
(৪) বাজারে ধানের চাল অর্থাৎ ধনের দানার শাঁস কিনতে পাওয়া যায়।300 গ্রাম ধনের চাল পরিষ্কার করে ঝেড়ে বেটে নেবেন। এবারে দুটো মিশিয়ে একটা শিশিতে করে রেখে দেবেন।
রাতে রাখা বাসি জলের সঙ্গে এই চূর্ণ দুই চামচ সকালে রাত্রে দুইবেলা খেতে দিবেন। সকালে খালি পেটে খেতে হবে। রাত্রেও বাসি জলে খেতে হবে। সকালে খালি পেটে খেতে হবে। রাত্রেও বাসি জলে খেতে হবে। সকালে খাওয়ার পরে এক ঘন্টা কিছু খাওয়া চলবে না। রাতে খাওয়ার অন্তত : দেড় – দুই ঘন্টা পরে খেতে হবে। এই ওষুধ মূত্রাশয়ের যে কোনো গোলযোগ দূর করতে সক্ষম।
অন্যান্য উপকার : অস্বাভাবিক, স্বপ্নদোষ, মূত্রাশয়ের উত্তেজনা, প্রমেহ ও অন্যান্য যৌন সমস্যা জনিত রোগ।
অনেক ক্ষেত্রে ওষুধ সেবনের পর পাতলা দাস্ত হতে দেখা যায়। এমন হলে রাতের মাত্রা বিকেলে খেতে হবে। যদি কোষ্টকাঠিণ্য দেখা দেয় তাহলে দ্বিতীয় মাত্রা বিকেলে খাবেন এবং রাত্রে শোয়ার আগে এক গ্লাস জলে ২ চামচ ইসবগুলো গুলে সেবন করতে হবে।
এই ওষুধের সঙ্গে ইসবগুলের ব্যবহার পাতলা বীর্যকে ঘন করে, ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
প্রস্রাব রোধ
(১) প্রস্রাব রোধ হলে বাঁ জ্বালা সহ অল্প প্রস্রাব হলে ঠান্ডা জলে ভারী গামছা বা তোয়ালে ভিজিয়ে নাভির চার আঙুল নিচে 10-12 মিনিট রাখলে জ্বালা কমবে। প্রস্রাব হবে।
(২) ভুট্টার গায়ে রেশমের মতো সোনালী রোয়া থাকে। এই রোয়া 25 গ্রাম এক গ্লাস জলে ফুটিয়ে সিকি গ্লাস করতে হবে। পড়ে নামিয়ে ছেঁকে নিয়ে হাল্কা গরম অবস্থায় পান করতে হবে। এতে প্রস্রাবের জ্বালা, প্রস্রাব বন্ধ ও থেমে থেমে প্রস্রাব হওয়া দূর হবে।
(৩) মুলো ও মুলো পাতার রস করে 60 গ্রাম পরিমান সেবন করলে মূত্র স্বাভাবিক হবে। জ্বালা যন্ত্রণাও কমবে।
(৪) জিরার চূর্ণ ও মিছরি চূর্ণ এক চামচ করে নিয়ে মুখে দিয়ে ঠান্ডা জলে খেলে আটকে থাকা প্রস্রাব বেরিয়ে আসবে।
মূত্রনালীর পাথর
মূত্রকৃচ্ছতার কারণে মূত্রনালিতে পাথর জন্মে থাকে। ভুট্টার গায়ের রোয়া ফোটানো জল 2-3 বার কয়েকদিন সেবন করলে মূত্রনালীর পাথর বেরিয়ে যাবে।