ব্রণ
ব্রণর সমস্যায় উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েরা প্রায়ই ভোগে। এর হাত থেকে মুক্তি পেতে হলে প্রতিদিন ভালো করে সাবান দিয়ে মুখ পরিষ্কার করা এবং কোষ্ঠ সাফ রাখা বিশেষ প্রয়োজন। এছাড়া হট ভেপার বা গরম জলের ভাপ নেওয়াটা ও জরুরী।
ব্রন ও ব্রনের দাগ থেকে মুক্তি পেতে
(১) কমলালেবুর খোসা বেটে সারা মুখে মাখা ও আধা ঘন্টা বাদে আঙুলের ডগা দিয়ে রগড়ে ধুয়ে ফেলা।
(২) এক চামচ ধনে পাতার রসের সাথে এক চিমটে হলুদ মিশিয়ে সারা মুখে মাখলে ব্রণের দাগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
(৩) শসার ও লেবুর রস দিনে তিন চারবার ব্রণের উপর বা দাগের উপর লাগানো।
(৪) মুলতানি মাটি কে বরফ জলে ভিজিয়ে বা ঠান্ডা জলে একঘন্টা রেখে ভালোভাবে ফেটিয়ে মুখে লাগালে উপকার হবে।
(৫) আধ চামচ করে আমলকি, হরিতকী ও বেরেলা একসাথে মিশিয়ে উষ্ণ জল দিয়ে খান।
(6) নিশিন্দা ও বেল পাতার রসের সাথে কর্পূর দিয়ে ব্রণতে লাগানো উচিত।
(৭) মুখে বড় বড় ব্রণ হলে এক চামচ পরিমাণ ঘি দিয়ে ভেজে খাওয়া। কাঁচা দুধ দিয়ে শিমুল কাঁটা বেটে দিনে দুবার করে ব্রণের উপর লাগালে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়।
কালো ছোপ
লিভারের গন্ডগোল থেকেই এটা বেশি হয়। তবে প্রখর রোদ বা পিরিয়ডের গোলমাল এর অন্যতম কারণ হতে পারে। টক বা অ্যাসিড জাতীয় খাবার বেশি না খাওয়া ও সরাসরি চড়া রৌদ্র না লাগানো উচিত।
(১) মুখে কালো ছোপ থাকলে সোমরাজ, কলমি শাকের রস, গম্ভীর ছাল আধ চামচ করে নিয়ে জলে ফুটিয়ে মুখে মাখা ও শুকিয়ে গেলে পরিষ্কার জলে মুখ ধোয়া।
(২) মুখে ছোপ ছোপ দাগ হলে অশোক আধা চামচ, মটর ডালের বেসনের সাথে মুখে লাগিয়ে ধোয়া।
(৩) মুখের কালো দাগ হলে আকন্দের আঠার সাথে কাঁচা হলুদ বাটা পেস্ট করে মুখে লাগানো।
মেচেতা
(১) মেচেতা হলে এক টুকরো দারুচিনি, একটি ছোট এলাচ ও আধা চামচ গুলঞ্চ জল দিয়ে খাওয়ান।
(২) মুখে মেছতা হলে শুষনি শাক, এক চামচ চন্দন, দুই চামচ দেবদারুর ছাল জলে ফুটিয়ে ছেকে সেই জল গরম অবস্থায় মুখে লাগানো।
(৩) দুই চামচ মধু এবং এক চামচ অর্জুন ছাল মিশিয়ে লাগালে বিশেষ উপকার হবে।
মুখের ত্বক উজ্জল করতে
(১) একাজে গোলাপের পাপড়ির জুড়ি নেই। প্রতিদিন গোলাপের পাপড়ি দুধের সর দিয়ে বেটে নিয়মিত মুখে মাখতে হবে।
(২) প্রতিদিন সকালে মুখে দই লাগিয়ে কিছুক্ষণ মালিশ করে 20 থেকে 25 মিনিট পর ধুয়ে ফেললে মুখের উজ্জ্বলতা বাড়বে।
(৩) আধ চামচ করে অর্জুন, বকুল, বচ গরম জল দিয়ে মেখে মধু দিয়ে খাওয়া উচিত।
(৪) বাসক পাতা, অশোক ও শঙ্খ গুঁড়ো আধ চামচ করে মুখে মাখা উচিত।
(৫) পদ্ম পাপড়ি দশ পনেরো টি ও দুটি কদম পাতা বেটে লাগানো উচিত।
বলিরেখা
এর প্রধান কারণ দুশ্চিন্তা। এছাড়া শরীরের জলীয় পদার্থের অভাব থেকেও মুখে বলিরেখা পড়তে পারে। এর থেকে মুক্তি পেতে-
(১) কমলালেবুর রস সারা মুখে মাখলে বলিরেখা দূর করা যায়।
(২) এক কাপ ফুটানো দুধে আধখানা লেবুর রস ও এক চামচ গ্লিসারিন মিশিয়ে একঘন্টা রেখে রাতে শোয়ার আগে মুখে ও হাতে পায়ে মেখে নিলে বিশেষ উপকার হয়।
(৩) তরমুজের রস মুখে মাখলে বলিরেখাতে বিশেষ উপকার আসে।
চোখের কোণে কালি
তাদিক মানসিক পরিশ্রম ও অনিয়মের মধ্যে যারা দিন কাটায়, অত্যন্ত কম ঘুম হয় কিংবা রক্তাল্পতা যাদের বেশি তারা এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে।
(১)সেদ্ধ রস প্রতিদিন 1 কাপ করে খেলে উপকার হয়।
(২) দইয়ের সাথে মুলতানি মাটি ও কয়েক ফোঁটা লেবুর রস একসাথে মিশিয়ে মুখে লাগালে উপকার হয়
(৩)চন্দন বাটা ও তুলসি বাটা গোলাপ জল দিয়ে লাগালে উপকার হয়।