বহুবিধ রোগের প্রতিকারক হিসাবে জোয়ানের ব্যাবহার

বহুবিধ রোগের প্রতিকারে যোয়ান ওষুধ হিসাবে বহু কাল ধরেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বিশেষ করেছি পচন তন্ত্রের সুস্থতার জন্য যোয়ান ব্যবহার অত্যন্ত ফলপ্রদ।যোয়ানকে সাধারণভাবে বলা হয় জ্বর নাশক। মসামান্য জ্বরে বা স্বাভাবিক জ্বরে যোয়ান ব্যবহার করে উপকার পাওয়া যায়। পড়াসুতি মহিলাদের পক্ষে যোয়ান অত্যন্ত হিতকারী।

রোগে ভোগে যোয়ানের ব্যবহার

পেটে ব্যথা :যোয়ান, বিট লবন এবং হিং একসঙ্গে গুঁড়ো করে একটি শিশিতে করেছি ঘরে রেখে দিলে সময়ে অসময়ে খুবই উপকার পাওয়া যায়। পেটে ব্যথা হলে এই চুর্ণ আধ চামচ পরিমানে মুখে দিলে এক গ্লাস গরম জল পান করলে তৎক্ষণাৎ ব্যথা কমে যাবে, প্রয়োজনে দিনে দুবার এভাবে যোয়ান চূর্ণ ব্যবহার করা যাবে।

সর্দি – কাঁশি : ঠান্ডা লাগে সর্দি কাঁশি হলে পানের মধ্যে যোয়ান দিয়ে খেতে হয়।

গলা ব্যথা : গলায় ব্যথা হলে, ঢোক গিলতে কষ্ট হলে, যোয়ান ভেজানো জল বের করে বার বার গার্গিল করতে হবে।

কৃমি : একচামচ যোয়ান চুর্ণের ছয় ভাগের এক ভাগ ঘোলের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়ালে বাচ্চাদের পাটের গুঁড়ো কৃমি নষ্ট হবে।

জ্বর : একটি মাটির পাত্রে ১৫ গ্রাম যোয়ানে এক কাপ জল দিয়ে পাত্রটি ছাদে খোলা জায়গায় রেখে দিতে হবে। পাত্রের মুখে একটি পাতলা কাপড় দিয়ে এমন ভাবে ঢেকে রাখতে হবে যাতে ধূলো বালি না পড়ে। সকালে যোয়ানের পাত্র নামিয়ে ছেঁকে জলটা রোগীকে পান করাতে হবে।

কোমরের ব্যথা : যোয়ান চূর্ণ ও গুড় ১০০ গ্রাম করে নিয়ে একসঙ্গে মিশিয়ে একটি পাত্রে রেখে দিতে হবে। প্রতিদিন সকাল বিকাল এই মিশ্রণ দু চামচ করে সেবন করলে কোমরের ব্যথা কমে যাবে।

প্রসূতির দুর্বলতায় : নিয়মিত যোয়ান সেবনে প্রসূতির ক্ষুধা বৃদ্ধি হয়। হাজমশক্তি বেড়ে এবং কোমরের ব্যথা সেরে যায়।

শ্বেত প্রদর : রাত্রে ৫০ গ্রাম চুন জলের মধ্যে ৪ গ্রাম যোয়ান ভিজিয়ে রাখতে হবে। সকালে যোয়ান জলের সঙ্গে কচলে পরিষ্কার কাপড়ে ছেঁকে নেবেন। এই জল নিয়মিত কয়েক দিন পান করলে মেয়েদের শ্বেতপ্রদর আরোগ্য হয়।

পেটের গ্যাস : অনেকের পেটে গ্যাস হয়। কোনো কিছুই খেলেই গ্যাসের সমস্যা দেখা যায়। এক্ষেত্রে একচামচ যোয়ান চূর্ণ এবং একচিমটে বিট লবন গরম জলের মধ্যে দিয়ে সেবন কোরকে গ্যাসের সমস্যা দূর হবে।

বায়ু বিকার : খাওয়ার পড়ে পেটে ভার হয়ে ওঠা, পেটে গুড়গুড় করা বা গ্যাস হওয়া ইত্যাদি সমস্যা হলে এক চামচ যোয়ান ও আধ চামচ খাওয়ার সদা মুখে দিয়ে কয়েক ঢোক গরম জল খেলে সঙ্গে সঙ্গে উপকার পাওয়া যাবে।

কোষ্টকাঠিন্য : যোয়ানের পাচন নিয়মিত সেবন করলে কোষ্ঠ সাফ হবে। অন্তরে পচন হবে না।

ঋতুস্রাবের গেলযোগ : ঋতুসরাবে কোনো গন্ডগোল হলে অর্থাৎ অনিয়মিত কিংবা অবরোধ হলে পুরানো গগুড় ও জোয়ান চুর্ণের পাচন সেবন করতে হবে। প্রতিদিন সকাল বিকাল দুই বেলা সেবন করতে হবে। এতে গর্ভশায়ের অবরোধ দূর হয়ে ঋতুস্রাব স্বাভাবিক হবে।

 

*** আরও আপডেট পেতে আমাদের ওয়েবসাইট প্রতিদিন ভিজিট করুন । 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *