- ১00 গ্রাম চাল বা ৪ পিস পাউরুটি অথবা ২ টি হাতে করা রুটির যে কোনো ও একটি, প্রথমে কড়াই এ ভালো করে ভেজে এবং নিতে হবে নিতে হবে। পরে দুটিকে মিহি করে গুঁড়ো করতে হবে। এই গুঁড়ো 2 চামচ মাত্রায় জলের সাথে বেশ কয়েক বার খেতে হবে। অর্থাৎ পায়খানা বন্ধ না হাওয়া অবধি এই গুঁড়ো খেতে হবে।
- কাঁচা কচি বেল কে ছোট ছোট টুকরো টুকরো করে কেটে ছায়াতে শুকিয়ে নিতে হবে। একে বেল শুঁট বলে। এই বেল শুট ভালোভাবে মিহি করে গুঁড়ো করে নিতে হবে। বয়স অনুযায়ী এটি খেতে হবে। অর্থাৎ ১মাস থেকে ১ বছর পর্যন্ত বাচ্চাদের জন্য ১২৫ মিলিগ্রাম থেকে ১.৫ গ্রাম,৫থেকে ১৬ বছর পর্যন্ত ৬গ্রাম শুঁট নিয়ে সারাদিন দুবার ভাগ করে খাওয়াতে হবে।
- জিরে ভাজা ও শিমুলের নির্যাস বা আঠা সমান পরিমানে নিয়ে গুঁড়ো করে নিতে হবে। পরে এই গুঁড়ো ওষুধ টি ১ মাস থেকে১ বছর বয়স পর্যন্ত বাচ্চাদের ১২৫ মি. গ্রাম থেকে ১.৫ গ্রাম, ৫থেকে ১৬ বছর পর্যন্ত ৬ গ্রাম থেকে ১৬ গ্রাম ও প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে ১৬ গ্রাম পরিমান মতো নিয়ে সারাদিন দুবার ভাগ করে খাওয়াতে হবে।
- ডালিমের খোসার গুঁড়ো ১ থেকে ৩ গ্রাম মাত্রায় মধুসহ দিনে দুবার পরপর সাতদিন খেতে হবে
- জ্যাম গাছের ছাল, পেয়ারা গগাছের ছাল ও জিওল গাছের ছাল সমান পরিমান নিয়ে ভালোভাবে শুকিয়ে আলাদা আলাদা মিহি করে গুঁড়ো করতে হবে। তারপর সমস্ত গুঁড়ো একসঙ্গে মিলিয়ে ১-২ চা চামচ সকালে ও ১-২ চা চামচ বিকালে জল দিয়ে খেতে হবে।
সাতর্কতা:- পাতলা পায়খানার সময় চিকিৎসা চলাকালীন বাড়িতে লবন চিনির জল তৈরি করে বারবার পান করতে হবে। লবন জল তৈরির পদ্ধতি : ১ গ্লাস বা ২00 মিলিমিটার জল ফুটিয়ে ঠান্ডা করে তাতে ১ চা চামচ চিনি এবং এক চিমটে লবন মিশিয়ে নিলে লবন চিনির সরবত তৈরি হয়ে যাবে।
কি খাওয়া দরকার:-
পাতলা পায়খানা হলে কি খাবেন ? যেমন কাঁচা কলা সেদ্ধ ও গাঁদাল পাতা, চিঁড়ে, খৈ এর মণ্ড , ডাবের জল, মুসুর ডালের জুস, ডুমুর ইত্যাদি খেতে হবে।