নিম গাছের উপকারিতা (usefulness of neem tree)

নিমের পরিচিতি – নিম মাঝারি ধরণের চিরহরিত বৃক্ষ। তবে শুষ্ক জায়গায় পত্র ঝরা বৃক্ষের মতো আচরণ করে. গাছ সাধারণত ৪০-৫০ ফুট লম্বা হয়। ফেব্রুয়ারী মার্চ মাসে নিম গাছের পাতা ঝরে নতুন পাতা গজায়। নিম গাছের বাকল গাঢ় ধূসর বর্ণের ও আমসৃণ। পাতা যৌগিক,৯-১৫ টি পত্রক থাকে। ফুল সাদা সুগন্ধি যুক্ত। ফল ডিম্বাকার। আমাদের দেশে সাধারণত দেশী নিম, ঘোড়া, মহা নিম এবং মিঠা নিম এই চার ধরণের নিম পাওয়া যায়।

নিম হল হাকিম বা সর্বোচ্চ বিচারক। নিম এমন একটি গাছ যা দিয়ে মানুষের সর্বাঙ্গের এবং সর্ব রোগের চিকিৎসা সম্ভব। এমনকি নিমের হাওয়া পর্যন্ত উপকারী। এই কারণে বাড়ীর দক্ষিণ দিকে নিম গাছ লাগানোর প্রথা প্রচলিত।

রোগ ভোগে নিমের ব্যবহার

কৃমি – নিমের পাতার রসে মধু অথবা হিং মিশিয়ে চেটে খেলে সব রকম কৃমি নষ্ট হয়।

চর্ম রোগে – নিমের পাতা জলে সেদ্ধ করে সেই জলে স্নান করলে, ফোড়া, ফুস্কুরি, ইত্যাদি চর্ম রোগ ভালো হয়। ঘা হয়ে গেলে নিম পাতা বেটে উপরে লাগালে উপকার পাওয়া যায়।

ব্রণ – নিমের পাতা বা ছাল পোড়ানো ছাই ক্রিম বা ভেসলিন এর সঙ্গে মিশিয়ে মুখে মাখলে. ব্রণ, ফুস্কুরি ইত্যাদি ভালো হয়।

ম্যালেরিয়া – নিমের পাচন ম্যালেরিয়া রোগের একটি বহু প্রচলিত ফলিত ওষুধ। ৫০ গ্রাম নিমের পাতার সঙ্গে সাত টা গোলমরিচ মিহি করে বেটে নিতে হবে। সম্পূর্ণ টা এক গ্লাস গরম জলে গুলে সেবন করলে ম্যালেরিয়া নিরাময় হবে।

পায়োরিয়া – কয়েকদিন নিমের তেল দিয়ে দাঁতের মাড়ি মালিশ করলে পায়োরিয়া বা দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়া সেরে যাবে।

অম্লপিত্ত –নিমের ছাল, গোলমরিচ নিয়ে গুঁড়ো করে শিশি ভোরে রেখে প্রতিদিন চার চামচে সম মাত্রায় টাটকা জলের সঙ্গে সেবন করলে অম্ল পিত্ত জনিত সকল প্রকার রোগ নষ্ট হবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *