টেনশন থেকে মুক্তি পেতে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা

জীবনে কিছু পরিমান টেনশন থেকে ভালো। কিছুটা টেনশন জীবনে কাজ করার উৎসাহ জোগায়। বেঁচে থাকার আনন্দ, উত্তেজনা আনে। কিন্তু বর্তমানে আমাদের সাধারণ মানুষের জীবনে আস্বাস্থকার টেনশনে ভরে যাচ্ছে – যা মনের শান্তি নষ্ট করে, ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়, খিদা নষ্ট করে, দীর্ঘদিন মানসিক উৎকণ্ঠা থেকে হৃদরোগের সম্ভাবনা বেড়ে যায়, ডায়াবেটিস বেড়ে যায়। এছাড়া টেনশনের আরো একটা মারাত্মক দিক – মানসিক টেনশনের ফেলে যৌনশৈত্য সৃষ্টি হয়। এর ফলে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কে অনেক সময় চিড় ধরে জীবনটাই দুর্বিসহ করে তোলে।

টেনশন কমাতে :

** টেনশন থেকে মুক্তি পেতে হলে প্রথমে যেটা প্রয়োজন টা হল কি কারণে টেনশন হচ্ছে সেটা বের করে টা থেকে দূরে থাকা বা সেটাকে সহজ করে নেওয়া। সাধারণত যে কারনগুলি থেকে টেনশন হয় টা হল – ভয় থেকে, শরীরের অসুস্থতা, অর্থাভাব থেকে, সম্পর্ক থেকে, সর্বোপরি পরিবেশ থেকে।

** টেনশন কমাতে বাড়ির লোকজনেদের রুগীকে সহযোগিতা করা প্রয়োজন। সামান্য কারণে চেঁচামেচি ও অশান্তি যেন না হয়।

** বেকার বসে না থেকে নিজেকে সবসময় কোনো না কোনোও কাজে নিযুক্ত করে রাখা।

** মন ভালো রাখতে ভালো বই পড়া ও ভালো গান শোনা উচিত,

** শরীর ঠান্ডা রাখে এমন খাবার খাওয়া প্রয়োজন। যথা শশা, পেয়ারা, আমলকি। এছাড়া খাবারের তালিকাতে লাউ, পটল, উচ্ছে, ঝিঙে, মুগের ডাল প্রভৃতি রাখা উচিত।

মানসিক টেনশন থেকে যেসব শারীরিক প্রবলেম দেখা যাতে পরে… ও তা থেকে মুক্তির উপায়

অনিদ্রায় : মানসিক টেনশন থেকে অনিদ্রা রোগ জন্মায়।

ঘুমাতে যাওয়ার আগে পাঁচ মিনিট ধ্যান করলে বা প্রাণায়াম করলে বিশেষ উপকার পাবেন।

ঘুম কম হলে রাত্রে ভাত খাওয়ার পরে এক গ্লাস দুধ খেলে ভালো ঘুম হয়।

মাথায় ভালো করে নারিকেল তেল মাখে ঠান্ডা জলে স্নান করা উচিত।

উচ্চ রক্তচাপ হলে : উচ্চ রক্তচাপ হলে যতটা সম্ভব লবন কম খাওয়া উচিত।

দশ গ্রাম শুসনি শাক বেটে অল্প চিনি বা মিছরি দিয়ে সরবত করে খাওয়া উচিত।

হাঁপানিতে : মানসিক টেনশন থেকে হাঁপানি রোগ বাড়তে পরে।

হারিতকি গুড়িয়ে প্রতিদিন সকালে এক চামচ করে খাওয়ান।

এক টুকরো আদাকে থেঁতো করে ঘাওয়া ঘি তে করে ভেজে মধু দিয়ে খেলে টেনশন জনিত হাঁপানি কমবে।

তুলসীপাতা গোলমরিচ ও মধু দিয়ে খেলে কাঁশি ও হাঁপানি কমবে।

ডায়াবেটিস রোগে : কোনো মিষ্টি ও ছাড়বি জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত নয়।

উচ্চর, করলা, সজনে ডাটা, কাঁচা পেঁপে, ছোলা অড়হর ডাল নিয়মিত খাওয়ান।

কালমেঘ ও নমপাতা গুঁড়ো প্রতিদিন এক চামচ করে গরম জল দিয়ে খাওয়ান।

প্রস্রাবের রোগে : টেনশন থেকে প্রস্রাবের রোগ দেখা দিলে তুলসী পাতার শুকনো বীজ রাত্রে ভিজিয়ে রেখে সকালে বেটে চিনি দিয়ে সরবত করে খেলে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *