ঋতুভেদে আপনার খাদ্যভ্যাস কি হবে?

প্রাকৃতিক পরিবেশের সঙ্গে মানব দেহের অঙ্গঙ্গি সম্বন্ধ। ঋতু ভেদে প্রকৃতির পরিবর্তন অনুযায়ী মানুষকে সুস্বাস্থ্য রক্ষার জন্যে আহারে বিহারে বিশেষ কতগুলি নিয়ম মেনে চলতে হয়। যথা –

বৈশাখজ্যৈষ্ঠ মাস : গরম কালে সুস্থ অবস্থায় নানাবিধ সুমিষ্ট ফল, স্বাদু ভাত ও শীতল এবং বিশুদ্ধ জল পান করা উচিত। অঙ্গের চন্দনাদি সুগন্ধি লেপন এবং যে জায়গায় বায়ু চলাচল বেশি সেই স্থানে শয়ন করা উচিত।

আষার ও শ্রাবন মাস : বর্ষা কালে সকলেরই পরিপাক শক্তি কিছুরা কমে যাবে। অতএব পুরোনো চালের ভাত, ছাগলের দুধ, লঘুপাক দ্রব্য ও তিক্ত রসদি ভোজন বিধেয়, এই সময়ে কোষ্ঠ পরিষ্কার রাখা উচিত। এই সময়ে দিবা নিদ্রা, অত্যন্ত শ্রমজনক কাজ, অতিরিক্ত রোদ লাগানো, অতিরিক্ত মৈথুন, ব্যায়াম নিষিদ্ধ।

ভদ্র ও অশ্বিন মাস : শরৎকালে পিও সচরাচর প্রকুপিত হয়। অতএব বীরেচন ওষুধাদি, পিত্তনাশক তিক্ত ও কষায় দ্রাব্যদি এবং লঘু ভোজন দরকার। এই সময়ে দই, টক, তীক্ষ্ণ দ্রব্য, দিবানিদ্রা,রৌদ্রে ভ্ৰমণ পূর্বায়ু সেবন থেকে বিরত থাকা উচিত।

কার্তিক, অঘ্রহায়ন, পৌষ ও মাঘ মাস : এই হেমন্ত কাল ও শীতকালে পরিপাকশক্তি বৃদ্ধি পায়, অতএব এই সময়ে প্রচুর পরিমানে মাংসাদি, ঘৃত, দুধ, ও অন্ন সেবন করা উচিত। এই সময়ে উষ্ণ গৃহে বাস ও শীতব্রস্ত ব্যবহার করা উচিত। এই সময়ে কটু রসযুক্ত দ্রব্য, দিবা নিদ্রা, স্বল্পভোজন ইত্যাদি শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর ।

ফাল্গুন ও চৈত্র মাস : বসন্তকালে পরিপাকশক্তি অনেকেঅংশে হ্রাস পায়, কারণ পাচকাদি অগ্নিদূষিত হয়। এই সময়ে নানাবিধ ব্যাধি সুচিত হয়।

রুক্ষবীর্য, লঘুপাক, কটু রসযুক্ত দ্রব্যদি, লঘুপাক মাংসাদি ও কফাহরী ওষুধ প্রভৃতি গ্রহণ করতে হবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *