দাঁতের যত্ন নিতে অনুসরণ করুন এই কয়েকটি নিয়ম। এই নিয়ম গুলি অনুসরণ করলে আপনিও পেটে পারেন উজ্জ্বল চকচকে দাঁত । দাঁত সম্পর্কে প্রথমেই মনে রাখতে হবে, পেট পরিষ্কার রাখতে হবে, কোষ্টকাঠিন্য যাতে না হয় সেদিকে সজাগ থাকতে হবে, কোষ্টকাঠিন্য যাতে না হয় সেদিকে সজাগ থাকতে হবে। গ্যাস – অম্বল হোলে দাঁত ক্ষয়ে যায়, দাঁতের এনামেল নষ্ট হয়।
দ্বিতীয়ত: দাঁত সর্বদা পরিষ্কার রাখতে হবে। কখনো যেন দাঁতের ফাঁকে ময়লা আটকে বা জমে থাকতে না পারে। দাঁতের ফাঁকে বা দাঁতের ময়লা আটকে সেগুলো একসময় পাথরে পরিণত হয়। এই পাথর দাঁতকে দুর্বল করে দেয়।
তৃতীয়ত : দাঁতের ক্ষতি হতে পারে এমন কোনো জিনিস খাওয়া বা পান করা উচিত নয়।
(১) আধ গ্লাস জলে আধখানা লেবুর রস মিশিয়ে দিনে দুবার করে কয়েকদিন পান করলে দাঁতের সাধারণ সমস্যা দূর হয়।
(২) রাতে শোয়ার আগে সামান্য সৈন্ধব লবন চূর্ণ ও হলুদগুঁড়ো মিশিয়ে মালিশ করতে হবে। এতে দাঁতে ও মাড়ির সব রকম সমস্যা অল্পদিনেই দূর হবে।
(৩) এক কাপ জলে আধ চামচ সৈন্ধব লবন চূর্ণ মিশিয়ে রোজ রাতে শোবার আগে কুলকুচো করতে হবে। নিয়মিত করলে দাঁতের রোগ দূরে থাকবে।
দাঁত সুরক্ষিত রাখতে
(১) সৈন্ধব লবন পিষে ময়দার মতো মিহি করে কাপড়ে চেলে নিতে হবে। এই লবনচূর্ণ আধ চামচ হাতের তালুতে নিয়ে লবনের তিনগুন সরষের তেল নিয়ে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর আঙুলের ডগায় করে নিয়ে দাঁতের মাড়িতে ঘষে ঘষে মালিশ করবেন। মালিশ করতে হবে হালকাভাবে। প্রতিদিন সকালে এভাবে নুন – তেল মালিশ করে মুখ জলে ধুয়ে ফেলবেন।
মাড়ি ও দাঁত ঘষার সময় রক্ত বেরোতে পারে। তাতে ঘাবড়াবেন না।
এতে যেকোনো রোগ থেকে দাঁতকে সুরক্ষিত রাখা যায়। দাঁতে পোকা, দাঁতের গোড়া ফোলা, মাড়ি ফোলা, মাড়ি থেকে রক্ত পড়া ইত্যাদি ভালো হবে। দাঁত নড়বে না, পায়োরিয়া হবে না।
দাঁতের রোগ থাকলে কিংবা রোগ না থাকলেও এই এই নুন – তেল ব্যবহার নিয়মিত করা উচিত।
পেস্ট দিয়ে দাঁত মাজার দরকার হোকে বা ইচ্ছে হোকে নুন – তেল দেওয়ার পর টা করতে পারেন।
দন্তশূল ও দন্তক্ষয়
মনে রাখবেন প্রধান কারণ হলো যাকে বলে দাঁতে পোকা লাগা। খাদ্য কণা দাঁতে আটকে থেকে গেলে পচে আমলকি সৃষ্টি করে। এতেই দাঁত ক্ষয়ে যায়। দাঁতের ওপরের সাদা পালিশ বা এনামেল নষ্ট হয়ে যায়। যথা সময়ে সজাগ না হোকে পড়ে দাঁতে গর্ত বা ক্যাভিটি সৃষ্টি করে। দাঁতের গড়ায় পুঁজ জমে, মাড়ি শক্ত হয়, এমনকি চোয়ালের হাড়ে পচন ধরে।
(১) দাঁতের ব্যথায় হলো দন্তশূল। হঠাৎ দাঁতে যন্ত্রনা হতে থাকলে, সামান্য আদা কুচিয়ে দাঁতের ব্যথার জায়গায় চিবুলে বা আদার রস ব্যথার জায়গায় লাগালে ততক্ষণাৎ ব্যথা দূর হয়।
( ২) জলে সামান্য হিং মিশিয়ে ওই জোলে কুলি করলে দাঁতের পোকা মরে যায়। পোকার কষ্ট দূর হয়। পোকা ধরা দাঁতের ফাঁকে হিং দিলেও জীবাণু নষ্ট হবে।
(৩) পেঁয়াজের রসে ভালো করে কুলকুচো করলে পোকা জনিত দন্তক্ষয় নিবারণ হবে, পোকা দূর হবে।