পরিচিতি : থানকুনি একটি অতি পরিচিত উদ্ভিদ। এটা লতানো উদ্ভিদ, বন জঙ্গলে প্রায় সর্বত্রই দেখা যায়। এর প্রধানত পাতাটাই আমরা ব্যবহার করে থাকি। পেটের রোগের ক্ষেত্রে এর উপকারী অপরিসীম।
শাস্ত্রীয় পর্যায় নাম : শাস্ত্রীয় পর্যায় এক মন্ডুকৃপনী, মণ্ডকী, তস্ট্রি, চলতি কথায় ফুলকুড়ি বা থানকুনি এবং হিন্দিতে বরভবি ব্যাক্ষী, চোরেশী, ফুরকুড়ি বা শ্বেত চমনী বলে। কিন্তু বাংলা দেশীয় চিকিৎসকগণের কাছে ব্রাম্হী ও থানকুনি সম্পূর্ণ ভিন্ন বস্তু।
গুনগত বিচারে শাস্ত্রের এই ব্রাম্হী ও থানকুনিতে স্মৃতিবাচক ভেষজ বলে।উল্লেখ থাকলেও ব্যবহার গত ক্ষেত্রে ব্রাম্হী অধিক স্মৃতিবর্ধক বলে বিবেচিত হয়। বস্তুত সাধারণের কাছে থানকুনি ব্রাম্হী শব্দে বোঝেন। কিন্তু বাংলা দেশীয় চিকিৎসকগণের কাছে ব্রাম্হী ও থানকুনি সম্পূর্ণ ভিন্ন বস্তু।
গুণগত বিচারে শাস্ত্রের এই ব্রাম্হী ও থানকুনিকে স্মৃতিবাচক ভেষজ বলে। উল্লেখ থাকলেও ব্যবহার গত ক্ষেত্রে ব্রাম্হী অধিক স্মৃতিবর্ধক বলে বিবেচিত হয়। বস্তুত সাধারণের কাছে থানকুনি আমপাচক রূপেই বেশি ব্যবহৃত। এছাড়া থানকুনির পরিবর্তক বলকারক এবং ঘর্মকারক ক্রিয়া আছে। এটি প্রয়োগে হাতে পায়ের উত্তাপ বৃদ্ধি পায় অথবা শরীর ঝিন করে। কিছুদিন একনাগাড়ে সেবন করলে শরীরের উষ্ণতা বোধ হয়। কখনো বা শরীরের অত্যন্ত চুলকানির উপস্থিত হতে পারে এবং কদাচিত হলেও এটির প্রয়োগে চর্মে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রক্তবর্ণ দাগও প্রকাশ পেতে পারে।
নাভি পুষ্ট ও বেগবতী হয়ে ওঠে। সপ্তাহ কাল নিয়মিত সেবনে মরা ঘাসের ন্যায় শরীরের চামড়া উঠে গিয়ে চামড়া কোমলতা মসৃন হয়। এটি সেবনকালীন ঘর্ম ও মূত্র বৃদ্ধি পায়। কখনো বা অসহ্য ক্ষুধাও প্রকাশ পায়। স্থানিক প্রয়োগে উগ্রতা সাধন করে। এই কারণে কুষ্ঠ ব্যাধিতে এর অভ্যান্তরিক ও বাহ্যিক প্রয়োগে উপকার হয়ে থাকে। বিশেষত যে যব কুষ্ঠ রোগীর স্পর্শবোধ লোপ পায় তাদের ক্ষেত্রে বিশেষ উপকার দেখা যায়। ক্ষতস্থানে এর পাতার রস বা পাতা পেতে পুলটিশ রূপে ব্যবহার হয়। উপদংশ রোগের দ্বিতীয় অবস্থায় বিশেষত রোগ পুরানো হলে এর দ্বারা উপকার হয়। কখনো কখনো পুরানো বাত রোগ ও এর ব্যবহারেও ফল পাওয়া গেছে।
সাধারণ মাত্রা : পাতা চূর্ণ ৮ গ্রেন দিনে ৩-৪ বার, পরে ক্ষেত্র বিশেষে বৃদ্ধি প্রয়োজন।