আদা প্রতিদিন প্রায় প্রতি ঘরেই কোনো না কোনো ভাবে ব্যাবহার করা হয়। এরও অশেষ উপকার। আদার বিশেষ গুন হলো, এটি হাজমকারক। পেটে ভার হওয়া বা ক্ষুধা মন্দা হলে খাওয়ার ইচ্ছে থাকে না। এমন অবস্থা হলে কয়েককুচি আদা লবন সহযোগে চিবিয়ে খেলে খিদের উদ্রেক হবে ও খাওয়ার রুচি হবে।
আদা নিয়মিত সেবন সর্দি – কাশি কফ, বায়ুরোগ ইত্যাদি নিরাময় হয়। রান্নার সঙ্গে আদার ব্যবহার সুপ্রচলিত। এতে আহারে রুচি বাড়ে। এছাড়া আচার চাটনি মোরব্বা করেও আদা প্রধানত ওষুধ হিসাবেই ব্যবহৃত হয়।
রোগ – ভোগে আদার ব্যবহার
সর্দি, নাক দিয়ে জল ঝরা : প্রথমে ওপরের পাতলা খোসা ছাড়িয়ে আদা মিহি করে কুচিয়ে নিতে হবে। ঘি এর মধ্যে আদার কুচি গুলি ভেজে নিতে হবে।এবার আদার সমস্যা পরিমান চিনির রসে ভাজা আদা গুলো দিয়ে গরম করেছি নিবেন।
চিনির রস ফুটতে থাকলে তার মধ্যে সাদা জিরা, জয়ত্রী, গোলমরিচ, নাগকেশরের, বড় এলাচ, পিপরি ধনে, তেজপাতা, কালো জিরে ইত্যাদি প্রতিটি আদার বারো ভাগ মিশিয়ে কাপড়ে ছেঁকে নিবেন। এটি প্রতিদিন দু চামচ মাত্রায় দুবার করেছি সেবন করলে পুরানো সর্দি সেরে যাবে। ঠান্ডা লাগা জ্বর কমে যাবে।
বমি : যেকোনো ধরণের বমি আদার রস ব্যবহারে বন্ধ হবে, আদা ও পেঁয়াজের রস মিশ্রিত করে সেবন করতে হবে।
কোষ্ঠকাঠিন্য : আদা, জোয়ান ও গুড় সমমাত্রায় নিয়ে একসঙ্গে বাটে নিতে হবে। ওই মিশ্রণ সামান্য ঘি তে ভেজে রেখে দিতে হবে। ওই মিশ্রণ কয়েকদিন নিয়মিত সেবন করলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে।
আদাকে কুচি কুচি করেছি কেটে সামান্য লবন ও পিপরি মিশিয়ে সেবন করলে সঙ্গে সঙ্গে পেট ব্যথা কমে যাবে।
জ্বর : আদা ও পুদিনার পচান তৈরি করে খেলে অল্প সময়েই জ্বর নেমে যায়।
মাদাগ্নি : ক্ষুধা ভালো না হলে বা ক্ষুধা কমে গেলে আদার রস, সৈন্ধব লবন, লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে আহারে বসার সময় সেবন করলে ক্ষুদার উদ্রেক হবে।
গলা বসা : স্বরভঙ্গ বা গলা বসে গেলে আদার রস মধুর রস মিশিয়ে সেবন করতে হবে। এতে বসে যাওয়া গলার স্বর স্বাভাবিক হয়ে যাবে। এই রীতিতে আদার রস ব্যবহার করলে গলার স্বর মধুর ও জোরালো হয়।
গাঁটে বাত : আদা মিহি করে কুচি করে গাওয়া ঘী তে ভেজে খেলে উপকার পাওয়া যায়। কুচানো আদা তিলের তেলে ফুটিয়ে ওই তেলে গাঁটে মালিশ করলেও উপকার পাওয়া যাবে।
*** আমাদের সাপোর্ট করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আরও আপডেট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে প্রত্যহ ভিজিট করুন।