রোগ প্রতিরোধক ও জন্ডিস রোগ নিরাময়ে হলুদ

হলুদ আমাদের নিত্য দিনের সঙ্গী। হলুদ ছাড়া গৃহস্থের রান্না অসম্পূর্ণ। এছাড়া নানা উপাচারেও হলুদ অপরিহার্য। ভেষজ হিসাবেও হলুদের গুরুত্ব সমধিক। এর ওষুধি গুন আমাদের অজ্ঞতার জন্য পুরোপুরি কাজে লাগানো সম্ভব হয় না। এটি এমন একটি ভেষজ যা আবাল বৃদ্ধ বনিতা নির্ভবনায় ব্যবহার করতে পারে এবং এর কোনো ক্ষতিকর দিক নেই।

রোগে – ভোগে হলুদের ব্যবহার :

জন্ডিস বা কামলা রোগ : দুই চামচ হলুদ এক গ্লাস ঘোল বা দইএর সঙ্গে মিশিয়ে সকাল বিকাল পান করলে জন্ডিস নিরাময় হয়।

মধুমেহ : বাটা হলুদে সামান্য চিনি মিশিয়ে গরম করে কয়েকদিন নিয়মিত সেবন করলে মধুমেহ রোগে উপকার পাওয়া যায়।

চোটলাগা : বাটা হলুদে ফিটকিরি চূর্ণ ও সামান্য তেল মিশিয়ে গরম করে বেথার জায়গায় সেঁক দিলে বা পটি বেঁধে দিলে চোটলাগা বা মচকা ব্যথা সেরে যায়।

অর্শ : হলুদের টুকরো আগুনে পুড়িয়ে চূর্ণ করে নিতে হবে। এই চুর্ন এক চামচ করে গ্যারপাঠে মিশিয়ে দুবেলা সেবন করলে উপকার পাওয়া যায়।

অর্শের পিন্ড শক্ত হয়ে তীব্র যন্ত্রনা হলে গ্যরপাঠের মধ্যে হলুদ বেটে গরম করে অর্শের পিন্ডর ওপর লাগাতে হবে এবং পুলটিস বেঁধে দিতে হবে। এতে ব্যথা কমবে, পিন্ড নরম হবে।

বসন্ত রোগ : হলুদ ও তেতুলপাতা এক সঙ্গে বেটে জোকে গুলে সরবতের মতো পান কোরকে বসন্তের গুটি বেরোবার আশঙ্কা কমে। গুটি বেরোলেও তা যন্ত্রণা হবে না।

ঘা : চোট লেগে রক্তপাত হতে থাকলে কিংবা ঘা হলে, হলুদের সঙ্গে সামান্য ফিটকিরি মিশিয়ে লাগাতে হবে। এতে রক্ত পাত বন্ধ হয়ে যাবে এবং ঘা দ্রুত শুকিয়ে যাবে।

কাশি : হলুদের টুকরো শোয়ার সময় মুখে রাখলে সর্দিলাগা, ও কাশিতে উপকার পাওয়া যায়।

*** আরও আপডেট পেতে আমাদের ওয়েব সাইট রোজ ভিজিট করুন । 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *