মেথি র অনবদ্য কয়েকটি গুন অবশ্যই জানুন

রান্নার মশলা হিসাবে গৃহস্থ বাড়িতে রান্নাঘরে প্রতিদিন মেথির প্রয়োজন হয়। মেথির ওষুধি গুনও যথেষ্ট। মেথি দানা, মেথির নরম শাকও ভারী উপিকারী এবং ভেষজ হিসাবে ব্যবহৃত হয়।

রোগে ভোগে মেথির ব্যবহার :

আমাশয় : মেথির শাকের রসে কালো আঙ্গুর মিশিয়ে খেলে আমাশয়ে উপকার পাওয়া যায়।

দুই চামচ মেথি চুর্ন দই বা ঘোলের সঙ্গে মিশিয়ে সকাল বিকাল দুইবেলা সেবন করলে সাদা আমাশয় সেরে যায়। রক্ত আমাশয় মেথির চুর্ন এই রীতিতে ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায়।

কোষ্ঠকাঠিণ্য : প্রতিদিন সকালে ও রাতে গুড় বা জলের সঙ্গে এক চামচ করে মেথিচুর্ন সেবন করলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়, যকৃত সবল হয়।

ব্রণ : মেথি শাক অথবা দানা মিহি করে বেটে ব্রনের ওপর প্রলেপ দিলে ফোলা, জ্বালা ও ঘা সেরে যায়।

প্রসূতির স্তন দুগ্ধ : প্রথমে ৩০ গ্রাম মেথির চুর্ন ২০০ মি. লি. দুধে রাত্রে ভিজিয়ে রাখতে হবে। সকালে উনানে ৫০ গ্রাম ঘি একটা পাত্রে চাপাবেন। ঘি ভালোভাবে গরম হলে দুধে ভেজানো মেথি চুর্ন তাতে ঢেলে দিবেন। সবটা গরম হলে নেড়েচেড়ে নামিয়ে নিন। এবার এর সঙ্গে ২০ গ্রাম মতো গুড় মেশাবেন। এই মিশ্রন প্রসূতি কে তিন সপ্তাহ সেবন করার পরামর্শ দিবেন। এতে স্তনে প্রচুর দুধ বাড়বে, প্রসূতির হজম শক্তিও বাড়বে।

বহুমূত্র : মেথি পাতার রস ১০০ মি. লি. এক চামচ খয়ের ও দুই চামচ চিনি মিশিয়ে সেবন করলে বহুমূত্র রোগ নিরাময় হয়।

মধুমেহ বা ডায়াবেটিস : রাত্রে ২০ গ্রাম মেথি জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে। সকালে ওই জলে মেথি ভালো করে কচলে জলটা ছেঁকে নিবেন, এই জল প্রতিদিন সকালে চার সপ্তাহ সেবন করলে পস্রাবে সুগারের মাত্রা কমবে। এটি এই রোগের প্রতক্ষ ফলপ্রদ ওষুধ।

প্রদর : এক চামচ মেথি চুর্ন সামান্য ঘি ও গুড়ের সঙ্গে মিশিয়ে চেটে খেতে হবে। সেই সঙ্গে মেথি চুর্ণের পুলটিস করে যোনির মুখে এমনভাবে বেঁধে রাখতে হবে যাতে সহজেই পুলটিস বের করে আনা যায়। এতে প্রদর আরোগ্য হয়।

সুতিকা রোগ : আধ কিলো মেথি পাউডার করে নিতে হবে। তার সঙ্গে দ্বিগুন পরিমান ঘি ও বারো গুন দুধ দিয়ে হালকা আঁচে পাক করে মধুর মতো ঘন করবেন।এবার এর সঙ্গে মেথির তিন গুন পরিমান চিনি মিশিয়ে মেথিপাক তৈরি করতে হবে। এই মেথি পাক ২৫- ৩০ গ্রাম মাত্রায় সকালে সেবন করলে সুতিকা আরোগ্য হয়। তাছাড়া এতে শরীর পুষ্ট ও সবল হয়।

বায়ুবিকার : পরিমান মতো মেথি ঘী এ ভেজে চুর্ন করে নিতে হবে। এবারে গুড় ও ঘি এর ছাচি তৈরি করে তার সঙ্গে মেথি চুর্ন মিশিয়ে সবটা দিয়ে ছোট ছোট গুলি তৈরি করে নিতে হবে। এই গুলি প্রতিদিন সকালে একটা করে খেলে বায়ু জনিত হাতে পা এর ব্যথা, টান ধরা ইত্যাদি কমে যাবে।

গাঁটের ব্যথা : দু চামচ করে মেথি ও সুঠ চুর্ন গুড়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে বাতজনিত গাঁটের ব্যথা – বেদনা সেরে যায়।

অর্শ : মেথি শাক রান্না করে কিছুদিন নিয়মিত খেলে অর্শ রোগে উপকার পাওয়া যায়। মেথি শাক বলকারক ও রক্ত পরিষ্কারক।

 

 

 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *