কর্পূরের অপরিহার্য ১০ টি ওষধি গুন

কর্পূর গাছের আঠাই আমরা কর্পূর হিসাবে ব্যবহার করি। সুগন্ধি কিন্তু স্বাদে তেতো। খুবই ঠান্ডা পদার্থ। বিভিন্ন রোগে ওষুধ হিসাবে কর্পূরের ব্যবহার বহু প্রাচীন। কর্পূরের সবচেয়ে বড়ো গুন এটি জীবাণুনাশক।

রোগে – ভোগে কর্পূরের ব্যবহার

মাথা ঘোরা : ভুল করে পানের সঙ্গে বেশি জর্দা খাওয়া হয়ে গেলে, কিংবা জর্দা দেওয়া পান প্রথম খেলে গা গুলিয়ে মাথা ঘুরতে শুরু করে। এই অবস্থায় খানিকটা কর্পূর জিভে ফেলে দিলে গা পাক দেওয়া ও মাথা ঘোরা শান্ত হয়।

কলেরা : অর্ক কর্পূর কয়েক বার সেবন করলে কোলেরায় উপকার পাওয়া যায়।

দাঁতের রোগ : মাড়ি ফুলে বা পোকা জনিত কারণে দাঁত ব্যথা হলে দাঁতের ফাঁকে বা গর্তে কর্পূর রাখতে হবে। পীড়া শান্ত হবে।

বিছের কামড় : কর্পূর ভিনিগারে ঘষে কামড়ের জায়গায় লাগালে বিছের বিষ নষ্ট হয়।

হুপিং কাশি : কর্পূরের ধোঁয়া শুকলে হুপিং কাশিতে উপকার পাওয়া যায়।

কর্পূর ও মুলাহাটির চুর্ন মুখে রেখে চুষলে পুরানো কাশিতে উপকার পাওয়া যায়।

মশা – মাছি : কর্পূর ঘরে পড়ালে মশা মাছি দূর হয়।

ছারপোকা : গদি, বালিশ, তোষক, লেপ ইত্যাদিতে ছারপোকার উপদ্রব হলে খানিকটা কর্পূর ওসবের মধ্যে রেখে দিলে নিশ্চিন্ত হতে পারবেন।

চর্মরোগ : কর্পূর ও সাদা খয়ের ১০ গ্রাম করে,৫ গ্রাম মেটে সিঁদুর একসঙ্গে মিশিয়ে ১০০ গ্রাম ঘিয়ের একটা কাঁসার থালায় আঙুল দিয়ে খুব করে ঘষে লাগিয়ে জল দিয়ে বারবার ধুয়ে দিতে হবে। পরে এই মলম, ফোঁড়া, পাঁচড়া, চুলকানি নালী – ঘা, পচা – ঘা ইত্যাদিতে লাগালে উপকার পাওয়া যায়।

গুটি বসন্ত : নারকেল তেলের সঙ্গে কর্পূর মিশিয়ে সমস্ত রোগের গুটি শুকিয়ে আসার মুখে লাগাতে হয়। এতে জ্বালা পোড়া ভাব, চুলকানি নিবারিত থাকে।

দুর্বলতা : হার্টের দুর্বলতার জন্য বুক ধড়ফড় করলে সামান্য কর্পূর জিভে দিয়ে চুষবেন। এতে নাড়ির গতি দ্রুত হবে এবং বুক ধড়ফড়ানি কমে যাবে।

 

*** আরও আপডেট পেতে আমাদের ওয়েব সাইটে রোজ ভিজিট করুন । 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *