হাঁটুর ব্যথা
(১) নিয়মিত নারকেলের শাস খেলে হাঁটুর ব্যথা হ্রাস পায় ও নিরাময় হয়।
(২) মেথি চুর্ন দুই চামচ অর্ধেক গ্লাস দুধে মিশিয়ে পান করলে হাঁটুর ব্যথায় উপকার পাওয়া যায়।
(৩) প্রতিদিন সকালে ৩টি আখরোটের সাদা শাঁস ( বাদামের মতো কোমল অংশ ) খেলে উপকার পাওয়া যায়।
(৪) বয়সকালে হাঁটুর ব্যথায় চমৎকার ফল পাওয়া যায় প্রতিদিন সকালে ২ চামচ মেথি গুঁড়ো মুখে দিয়ে জল খেলে। একমাস নিয়মিত খেতে হবে। এতে গোড়ালির ব্যথাও ভালো হয়।
কোমর ব্যথা
(১) সমপরিমান খসখস ও মিছরি মিশিয়ে গুঁড়ো করে নিতে হবে। এই গুঁড়ো ২ চামচ প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যা খেতে দিবেন। খাওয়ার পর খানিকটা গরম দুধ খেতে হবে।
(২) ৬0 গ্রাম গমের দানা রাত্রে জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে। সকালে ভেজানো গমের সঙ্গে ৩০ গ্রাম খসখস ও ৩০ গ্রাম ধনের শিলে পিষে নিতে হবে। এই বাটা দুধের সঙ্গে মিশিয়ে পায়েস বা ক্ষীর করে প্রতিদিন নিয়মিত দুই সপ্তাহ খেতে হবে।
(৩) সকাল সন্ধ্যায় একটু হাঁটা হাতি করলে বা আসন করলেও উপকার পাওয়া যায়।
(৪) সকালে খালি পেটে এক গ্লাস হাল্কা গরম জলে এক চামচ মধু মিশিয়ে খেতে হবে।
(৫) তারপিন তেল মালিশ করলে কোমরের ব্যথা প্রশ্রমিত হয়।
(৬) ফুটন্ত গরম জলে ছাড়তে তুলসী পাতা বা একটা বড় এলাচ গুঁড়ো মিশিয়ে জল ঠান্ডা হলে পান করতে হবে।
গাঠে ব্যথা বা সন্ধি শোথ
(১) সামান্য ঘি মিশিয়ে বেসনের রুটি বানাতে হবে। লবন দেওয়া চলবে না। এই রুটি গাঁট বা জোড়ের ব্যথায় উপকারী।
(২) ২ চামচ আশ্বগন্ধর গুঁড়ো ঘি মিশিয়ে হালুয়া করে খালি পেটে দুই সপ্তাহ খেতে দিবেন।
(৩) আটার সঙ্গে বেথে শাক কুচি করে মিশিয়ে রুটি বানিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
(৪) সমপরিমান আশ্বগন্ধর গুঁড়ো ও মিছরির চূর্ণ মিশিয়ে কাপড়ে চেলে নিয়ে একটি পরিষ্কার কাঁচের শিশিতে রেখে দিবেন। এই চূর্ণ এক চামচ পরিমানে প্রতিদিন এক গ্লাস দুধের সঙ্গে মিশিয়ে সেবন করতে দেবেন। দু – তিন সপ্তাহ সেবন করলেই গা – হাত – পায়ের সব ব্যথা দূর হবে।
(৫) বে শাকের রস প্রতিদিন ২৫ গ্রাম করে সকালে বিকালে খালি পেটে সেবন করতে হবে। চিনি বা লবন মেশানো চলবে না। এতে গাঁটে ব্যথা নিরাময় হবে।