এলাচ কমবেশি সকলের বাড়িতেই পাওয়া যায়। তবে এই এলাচ কেন খাবেন ? জেনে নিন বিশেষ কিছু কারন ।
এলাচ সুগন্ধি মশলা হিসাবে প্রষিদ্ধ। এর ওষুধি গুনও কিছু কম নয়। নানা ধরণের ওষুধ প্রস্তুত করতে এলাচ ব্যবহৃত হয়। বিভিন্ন রোগে এলাচ অত্যন্ত উপকারী।
রোগে – ভোগে এলাচের ব্যবহার :
হজমশক্তি : এলাচ হজমশক্তির সহায়ক। খাওয়ার পর একটি এলাচ চিবালে খাবার দ্রুত হজম হয়।
মুখের দুর্গন্ধ : মুখে এলাচ রেখে চুষলে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়।
ধাতুস্রাব : এলাচ ও ভাজা হিং চুর্ন করে দুধের সঙ্গে সেবন করলে পস্রাবে ধাতু নির্গত হওয়া বন্ধ হয়।
যৌনশক্তি : একচামচ এলাচ চুর্ন বেদনার রসের সঙ্গে সেবন করলে যৌনশক্তি বৃদ্ধি হয়।
মুত্রাঘাত : সামমাত্রায় এলাচ ও আমলকি চুর্ন সকাল বিকাল সেবন করলে পস্রাবের জ্বালা, মূত্রঘাতজনিত হাত পায়ের জ্বালা দূর হয়।
স্বপ্ন দোষ : সমমাত্রায় এলাচ দানা ও ইসবগুল আমলকির রসে মেড়ে নিতে হবে। পরে ওই মিশ্রন দিয়ে একটি সীম বিচীর আকারের একটি গুলি তৈরী করে নিবেন। সকাল বিকাল দুই বেলা একটি করে গুলি সেবন করলে স্বপ্নদোষ নিবারণ হয়।
কাশি : ছোট এলাচ চাটুতে পুড়িয়ে কয়লার মতো করে নিতে হবে। পরে এই কয়লা গুঁড়ো করে দিনে তিনবার একগ্লাস মাত্রায় মধুর সঙ্গে সেবন করলে কাশি নিবারণ হয়।
জ্বর : এলাচদানা, বেলফল, পুনর্থবা ও দুধ কিছুটা জলের সঙ্গে ফোটাতে হবে, সবটা ফুটে যখন শুধু দুধ অবশিষ্ট থাকবে তখন নামিয়ে হাল্কা গরম থাকতে থাকতে সেবন করতে হবে। দিনে তিনবার সেবন করলে সব ধরণের জ্বর নিরাময় হয়।
বমি : এক চামচের কম কিন্তু আধ চামচের বেশি এলাচ দানা চুর্ন অথবা পাঁচফোঁটা এলাচ তেল বেদনার রসে মিশিয়ে সেবন করলে বমি বন্ধ হবে।
বেদনার অভাবে ডালিমের রস ব্যবহার করা চলে।
ব্যথা : এলাচ, ভাজা হিং, ও সৈন্ধব লবণের পাচন তৈরি করে তার সঙ্গে সামান্য ভেরেত্তরে বা রেড়ির তেল মিশিয়ে সেবন করলে বুক, পেট, হাত, পা কোমরের ও মাথা ব্যথা প্রশ্রমিত হয়।
হৃদরোগ : এলাচদানা, পিপুলের মূল, পটল পাতা সমপরিমানে নিয়ে চুর্ন করে নিতে হবে। এক চামচ চুর্ন প্রতিদিন দুই বেলা সকালে ও রাত্রে চেটে খেলে বুকে কফ বসে শ্বাস কষ্ট কফজনিত হৃদরোগ প্রশমিত হয়।
চোখের জ্যোতি : সমমাত্রায় এলাচ দানা চুর্ন ও চিনির সঙ্গে সামান্য পরিমানে রেড়ির তেল মিশিয়ে নেবেন। এই মিশ্রন দুই চামচ মাত্রায় প্রতিদিন সকালে সেবন করলে চোখের জ্যোতি বাড়ে, চোখ শীতল হয়। যাদের চোখের কাজ বেশি করতে হয় এই যোগ ব্যবহার করে তারা প্রভুত উপকার পাবে।